শিক্ষাবর্ষ ২০২১-২০২২ এর জন্য অ্যাডমিশন শুরু হয়ে গিয়েছে বিহানি অ্যাকাডেমির। আন্তর্জাতিক স্তরের পরিকাঠামো থেকে নজরকাড়া ক্যাম্পাস - কোনও শিক্ষার্থীর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সব কিছুই রয়েছে বিহানি অ্যাকাডেমিতে। যা কোনও শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের রাস্তাগুলিকে আরও প্রশ্বস্ত করে তুলবে।
বর্তমান সময়ে সিবিএসই-এর শীর্ষে থাকা সমস্ত ইনস্টিটিউট গুলির মধ্যে অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হল বিহানি অ্যাকাডেমি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের জন্য এমন একটা স্কুল তৈরি করা কিংবা এমন একটি মঞ্চ তৈরি করা যেখানে প্রাতিষ্ঠানিকতার জাদু দন্ডের ছোঁয়ায় প্রত্যেক শিক্ষার্থী পৌঁছে যেতে পারবে তাদের স্বপ্নপূরণের দোরগোড়ায়। শুধুমাত্র সামগ্রিক পড়াশুনাই নয়, সাধারণের স্বার্থের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী যাতে এখানে পড়ার সুযোগ পায় সেই কথা ভেবেই এখানকার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পরিকাঠামো অর্থাৎ বিদেশের স্কুলগুলির আদতে তৈরি হয়েছে এই স্কুলটি। এখানে রয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল ক্লাসরুম। সঙ্গে বিশ্বমানের প্রযুক্তি এবং পরিকাঠামো যা হালফিলের ই-লার্নিংকে আরও সহজ করে তুলেছে। সেই সঙ্গে গোটা ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরায় মোড়া। যা শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে। শুধু তাই নয়, সমগ্র ইনস্টিটিউশনটি অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামে সজ্জিত। মেডিক্যাল এমার্জেন্সির সময়ে শিক্ষার্থীদের দেখাশোনার জন্য সর্বদাই একজন নার্স উপস্থিত থাকেন ক্যাম্পাসে। সবুজে ঘেরা ছয় একর জমিতে তৈরি হয়েছে বিহানি অ্যাকাডেমির ক্যাম্পাস — সমস্ত দূষণ এবং কোলাহলের থেকে অনেকটা দূরে। প্রত্যেক কর্মী এখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করে। এই সমস্ত কিছুর পাশাপাশি আইএসও সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে বিহানি অ্যাকাডেমি আন্তর্জাতিক মানের স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে যেখানে রয়েছে বিশ্বমানের পরিকাঠামো। ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন সিম্পোসিয়াম অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ এর তরফ থেকে 'বছরের সেরা পরিকাঠামো'-এর পুরস্কার জিতেছে তারা।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের উন্নত করতে বিভিন্ন পরিকাঠামোগত উদ্যোগ নিয়েছে বিহানি অ্যাকাডেমি। যেমন স্মার্ট ক্লাস, বিভিন্ন সহ পাঠক্রমিক ক্রিয়াকলাপ, কমিউনিটি সার্ভিস, ফিল্ড ট্রিপ ইত্যাদি। এখানকার এডুস্পোর্টস ক্লাসগুলি শিক্ষার্থীদের মজার কথা ভেবেই তৈরি করা। শরীরচর্চার পাশাপাশি তাদের সামগ্রিক বিকাশের স্বার্থে এখানকার বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকরা বিভিন্ন ইন্টারেকটিভ সেশন, গেমস এবং আকর্ষণীয় ক্রিয়াকলাপের আয়োজন করে। যেখানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিবাবকরাও অংশগ্রহণ করে থাকেন। ক্য়াম্পাসের মধ্যেই রয়েছে বিভিন্ন ইনডোর এবং আউটডোর গেমস খেলার সুবিধা। বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, ক্রিকেট পিচ, রানিং ট্র্যাক থেকে শুরু করে ক্যারম, দাবা, বিলিয়ার্ডস — কী নেই এখানে! ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন মিউজিকের পাশাপাশি যোগা এবং মার্শাল আর্টসের জন্যও রয়েছে আলাদা আলাদা জায়গা। এছাড়াও সিনিয়র এবং জুনিয়রদের জন্য রয়েছে দু'টি আলাদা লাইব্রেরি। রয়েছে ডান্স স্টুডিও। একটি ফুল সাইজ ফুটবল গ্রাউন্ডের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের ভিতরেই রয়েছে একটি বড় সুইমিং পুল, একটি স্প্ল্যাশ পুল এবং ৪০০ সিটের একটি ওপেন অ্যাম্পিথিয়েটার।
এখানকার শিক্ষকরা প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকেই হাতে-কলমে শেখার উপর জোর দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন প্লে এরিয়া এবং ক্লাস রুমগুলি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত হতে সাহায্য করে। সিবিএসই গাইডলাইনকে মাথায় রেখেই এখানকার অন্তবর্তী কাউন্সেলর এবং স্পেশাল এডুকেটরেরা বাচ্চাদের প্রতিদিনের কার্যকলাপকে পর্যবেক্ষণ করেন। তাদের বিশেষ প্রয়োজনগুলির উপর নজর দেন। এর পাশাপাশি প্রি প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের জন্য ডে কেয়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে।
সদ্য গৃহীত এই ডিজিটাল লার্নিং পদ্ধতির কোনওরকম ফাঁক-ফোকড় ছেড়ে দিতে রাজি নন বিহানি অ্যাকাডেমির গোটা টিম। শিক্ষকেরা প্রতিনিয়ত নিজেদের মানোন্নয়ন করে চলেছেন। ছবি, প্রেজেন্টেশন, ভিডিও ইত্যাদির মাধ্যমে ক্লাসগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই মুহূর্তে বিহানি অ্যাকাডেমির ক্যাম্পাসে রয়েছে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, জিওগ্রাফি, হোম-সায়েন্স, ম্যাথ সহ দু'টি করে কম্পিউটার ও ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব। সোশ্যাল স্টাডিজের ল্যাবটি শিক্ষার্থীদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। কারণ সেখানে রয়েছে হাতে-কলমে শেখার সুবিধা। এখানকার ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব দু'টিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি পায়। ক্যাম্পাসে ফিজিকাল ল্যাবের পাশাপাশি, এই সেশনের গুরুত্বকে মাথায় রেখে নতুন করে ভার্চুয়াল ল্যাবও তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করলে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুশীলন করতে হয়। সেক্ষেত্রে ও-ল্যাব - এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলি থিওরিটিক্যাল লার্নিয়ের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সায়েন্স নিয়ে কেরিয়ার তৈরিতেও সাহায্য করে।
প্রতি মুহূর্তেই নতুনত্বকে উন্মুক্ত হস্তে স্বাগত জানিয়েছে এই স্কুল। সময়ের প্রয়োজনে হঠাৎ করে শিক্ষার প্রক্রিয়ায় আনা এই বদলের সঙ্গে অত্যন্ত দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে এই স্কুল এবং সেই শিক্ষা ব্যবস্থার যথাযথ ব্যবহারও করা হয়েছে। সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিহানি অ্যাকাডেমি। বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে সমস্ত পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে তারা। প্রত্যেকের সুরক্ষার স্বার্থে টেম্পারেচার স্ক্যানার এবং যথাযথ স্যানিটাইজেশন নিয়মিত অনুশীলনে পরিণত হয়েছে ক্যাম্পাসে। বিহানি অ্যাকাডেমি বিশ্বাস করে, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু ইতিবাচক বদল হলেই বৃহত্তর ক্ষেত্রের স্বার্থসিদ্ধি হবে এবং তা শিক্ষা প্রক্রিয়ায় আর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।
ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া। আর দেরি কেন? শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে এবং তাদেরকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে বিহানি অ্যাকাডেমিই হতে পারে আদর্শ গন্তব্য।
অ্যাডমিশনের বিষয়ে বিশদে জানতে লগ ইন করুন www.bihaniacademy.com অথবা ফোন করুন (০৩৩) ৩৫৩৫ ৩৫৩৫ নম্বরে। আপনি মেইলও করতে পারেন - enquiry@bihaniacademy.com এখানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy