প্রতীকী ছবি
নামেই পুকুর। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই যে, সেটি আদতে কী! ঝোপজঙ্গলে ভরা ওই জলাশয়কে দেখলে ভাগাড় বলে ভুল হতেই পারে।
বরাহনগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মান্নাপাড়ায় দীর্ঘ দিন ধরেই এমন বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন একটি পুকুর। অবশেষে সেটি সাফাই করাতে মালিককে নোটিস পাঠাল পুরসভা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংস্কার না-হওয়ায় গোটা পুকুরটাই কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। চার দিকে গজিয়েছে ঝোপজঙ্গল। আর এই অবস্থার মধ্যেও পুকুরে আবর্জনা ফেলে চলেছেন এলাকাবাসীদের একাংশ। অভিযোগ, পাড়ার ভিতরে হওয়ায় ওই পুকুরটির প্রায় বুজে যাওয়ার অবস্থা হলেও তা নিয়ে হেলদোল নেই স্থানীয় পুর প্রশাসনের।
কয়েক বছর আগে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মারা যান। তার পর থেকে পাশের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কিংবা পুর কর্তৃপক্ষের তরফেই সেখানকার কাজকর্ম দেখভাল করা হত। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর অঞ্জন পাল বলেন, ‘‘সত্যিই সংস্কারের অভাবে পুকুরটি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ডেঙ্গির মরসুমের আগে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে সমস্যা দেখা দেবে।’’ একই অভিযোগ করছেন বাসিন্দারাও। তাঁদের দাবি, এমনিতেই গত বছর বরাহনগরে ডেঙ্গির প্রকোপ ছিল বেশ বেশি। করোনাও ভাল রকম ছড়িয়েছে। সেখানে পাড়ার মধ্যে পুকুরটি এমন অবস্থায় থাকলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
সমস্যার কথা স্বীকার করে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান পারিষদ দিলীপনারায়ণ বসু বললেন, ‘‘বেশ কয়েক বছর আগে পুকুরটি বুজিয়ে সেখানে প্রোমোটিংয়ের পরিকল্পনা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা আটকে দেওয়া হয়। তার পর থেকে পুকুরটি ওই ভাবেই পড়ে রয়েছে। মাঝে পুরসভার তরফে সাফাই করা হয়েছিল। ফের একই অবস্থা হওয়ায় মালিককে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কাজ না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy