—প্রতীকী চিত্র।
আবর্জনা সংগ্রহ করা হয় নিয়মিত। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্যও আলাদা ভাবে সংগ্রহ করা হয়। অথচ, তারপরেও পুর এলাকার একাধিক জায়গায় আবর্জনা ফেলা হচ্ছে রাতের অন্ধকারে। কে বা কারা তা ফেলছেন, তা জানা যায়নি। সেই কারণে তাঁদের চিহ্নিত করতে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করেছে উত্তর দমদম পুরসভা।
পুরকর্তাদের দাবি, পুরসভার কর্মীরা নিয়মিত আবর্জনা সংগ্রহ করেন। আলাদা ভাবে জৈব এবং অজৈব বর্জ্যও সংগ্রহ করা হয়। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, এলাকায় প্লাস্টিক ওপ্লাস্টিকজাত সামগ্রীর ব্যবহারও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তার পরেও বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত বর্জ্য জমা হচ্ছে, যা পুরকর্মীদের আলাদা ভাবেতুলে নিয়ে গিয়ে ভাগাড়ে ফেলতে হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে বা মধুসূদন ব্যানার্জি রোডের ধারে একাধিক জায়গায় এমনআবর্জনা দেখা যাচ্ছে। তার পরিমাণও অনেক। সেখানে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য একসঙ্গে ফেলা হচ্ছে। পুর প্রশাসনেরএকাংশের মতে, স্থানীয় বাসিন্দারাও অনেক সময়ে খাল, রাস্তা বা জলাশয়ের ধারে আবর্জনা ফেলেন। কিন্তু তার পরিমাণ অনেক কম হয়। এতটাআবর্জনা কারা ফেলছেন, সেটা জানা দরকার। তাই তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
এক পুরকর্তার দাবি, আবর্জনা ঠিক মতো দেওয়ার ক্ষেত্রেআগের তুলনায় স্থানীয়দের সাড়া এখন অনেকটাই বেশি মিলছে। বর্জ্য পৃথকীকরণেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যেযত্রতত্র আবর্জনা ফেলা হলে তা কোনও মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাসিন্দাদেরও একাংশের বক্তব্য, এ ভাবে যেখানে সেখানে আবর্জনা পড়ে থাকলে পুরসভার নজরদারি নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। প্রতিটি জায়গায়প্রশাসনের লোকজন রয়েছেন। তা সত্ত্বেও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কী ভাবে?
উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, এলাকাপরিচ্ছন্ন রাখার উপরে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পুরবাসীরাও সাড়া দিচ্ছেন। সেখানে কিছু কিছু জায়গায় আবর্জনা ফেলা হলে তা নতুনসমস্যা ডেকে আনছে। সেই কারণে নজরদারি বাড়ানোর কথা ভাবা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সে সবজায়গায় সিসি ক্যামেরার নজরদারি চালানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy