দমদম পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
গৃহস্থের বাড়িতে ব্যবহৃত ফুল-মালা আগে ফেলে দেওয়া হত যত্রতত্র। এত দিন সেই দৃশ্যই দেখা যেত সব জায়গায়। কিন্তু ছবিটা বদলে গিয়েছে উত্তর দমদম পুরসভা এলাকায়। সেখানে প্রতিটি বাড়ি থেকে ফুল সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বার সংগৃহীত সেই ফুল থেকে ধূপকাঠি, আবির ও সার তৈরির কাজ করতে চলেছে উত্তর দমদম পুরসভা।
এমন পরিকল্পনার কথা আগেই জানানো হয়েছিল। এ বার তা কার্যকর করতে চলেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। তার জন্য জমিও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। গত শুক্রবার এ বিষয়ে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের। পুরসভাকে সাহায্য করবে ওই সংস্থা। পুরসভা সূত্রের খবর, পুর এলাকা যতটা সম্ভব আবর্জনামুক্ত রাখতে নিয়মিত বর্জ্য সংগ্রহ এবং কঠিন ও পচনশীল বর্জ্য পৃথকীকরণের কাজে জোর দেওয়া হয়েছিল আগেই। সেই কাজে নেমে দেখা যায়, বিভিন্ন বাড়ি থেকে প্লাস্টিকে মুড়ে যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে ব্যবহৃত ফুল। বিষয়টি জানতে পেরে পুর কর্তৃপক্ষ ঠিক করেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলাদা ভাবে ফুল সংগ্রহ করা হবে।
পরে সেই ফুল থেকে ধূপকাঠি, আবির এবং সার তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের সেই কাজে নিয়োগের পরিকল্পনাও করা হয়, যাতে তাঁদের বাড়তি আয়ের একটা রাস্তা খুলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, পুজোর ফুল অনেকেই আবর্জনার সঙ্গে ফেলতে চান না। তাই আলাদা ভাবে যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া হত। পুরসভা ফুল সংগ্রহে উদ্যোগী হওয়ায় এখন সেই প্রবণতা কমেছে। কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, রোজ গড়ে দেড় টনের মতো ফুল সংগ্রহ হচ্ছে। সেই ফুলের পাপড়ি থেকে ধূপকাঠি, আবির এবং সবুজ অংশ থেকে সার তৈরির কাজ শুরু হলে পুর আয়ও বাড়বে। পুর চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের এই প্রকল্পের কাজে নিয়োগ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy