সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
আপনি সেই বিরল নারী, যাঁর ছেলে-বউমা এক সঙ্গে নোবেল পেল। তথ্যটা খেয়াল করেছেন?
(হেসে) নোবেল পাবে যে ছেলে, তার এক জন মা তো থাকবেই। হ্যাঁ, এস্থার খুব ভাল মেয়ে, খুব ব্রাইট মেয়ে। ও যে নোবেল পেয়েছে, আমি খুব খুশি হয়েছি।
আপনি তো নিজেও অর্থনীতির গবেষক, শিক্ষক। প্রায়ই দেখেছি, আপনার সঙ্গে তর্ক বেধে যায় অভিজিৎবাবুর। এখন কি নিয়ে বিতর্ক চলছে?
মেয়েদের উন্নয়নে কেমন নীতি কার্যকর হবে, তা নিয়ে আমাদের প্রায়ই তর্ক হয়। আর আমার খারাপ লাগে যে, অর্থনীতির খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে তেমন ভাবে কাজই হচ্ছে না। যেমন পাবলিক ফিনান্স, বাজেট পলিসি। এগুলো নিয়ে কোনও ভাল কাজ নেই। তাই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যা করছেন, তার ভ্রান্তিগুলো সে ভাবে দেখানো হচ্ছে না। আর একটা বিষয়ে আমি অভিজিৎদের কাজ করতে বলি, তা হল কৃষি। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের কৃষি। এত লোকের জীবিকা যার উপর নির্ভরশীল, তা নিয়ে কোনও নীতি নেই, এটা ভাবলে কষ্ট হয়। আশা করছি, ওরা এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে।
অভিজিৎবাবুরা যে কাজটার জন্য পুরস্কৃত হলেন, তা নিয়ে আপনার কী মনে হয়?
পদ্ধতিগত যে কাজটা ওরা করেছে, সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাস্তবে কী ঘটছে, তা বুঝতে এই পদ্ধতি সাহায্য করে।
ওঁরা যে এ বছর পুরস্কার পেতে পারেন, ভেবেছিলেন?
আমি ভেবেছিলাম, আরও বছর পাঁচেক দেরি হবে। ওদের পরবর্তী যে বইটা বেরোবে, সেটার জন্য বরং অপেক্ষা করছিলাম।
নিজেরা যখন সময় কাটান, তখনও কি আপনারা অর্থনীতি নিয়েই কথা বলেন?
ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও বলি, তবে সাধারণত যখন কোনও সমস্যা দেখা দেয়। বাকি সময়ে দু’জনের আগ্রহের বিষয় নিয়ে। আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা ঠিক সেন্টিমেন্টাল ধাঁচের মা-ছেলে সম্পর্ক নয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক।
সাক্ষাৎকার: স্বাতী ভট্টাচার্য
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy