রাজ্যে শব্দবাজি বিক্রি করা যাবে না। ফাটানোও নিষিদ্ধ। তবে তা তৈরি ও মজুত করতে কোনও বাধা আর থাকল না। বাজির শব্দমাত্রা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নতুন নির্দেশিকায় এমনই বলা হয়েছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে শুক্রবার, ৫ মে, ওই নির্দেশিকা জারি করেছে পর্ষদ। কিন্তু রাজ্যে শব্দবাজি তৈরি ও মজুত করার অনুমতি দেওয়া হলে তার বিক্রি ও ব্যবহার ঠেকানো যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশকর্মীরা।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যে বাজির সর্বোচ্চ শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেল। এর চেয়ে বেশি শব্দের বাজি বিক্রি ও ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৯০ ডেসিবেলে খেলনা পিস্তলের ক্যাপ ছাড়া অন্য বাজি হয় না। অন্য রাজ্যে বাজির শব্দসীমা ১২৫ ডেসিবেল। রাজ্যে বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেলে বেঁধে আগেও নির্দেশিকা জারি করেছে পর্ষদ। কিন্তু তখন শব্দবাজি তৈরি ও মজুতেও বারণ ছিল। ২০০৪-এ সিটু-র দক্ষিণ ২৪ পরগনা শাখা তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে চিঠি দিলে পর্ষদ ছ’টি কারখানাকে শব্দবাজি তৈরির অনুমতি দেয়। শর্ত ছিল, বাজি রাজ্যের বাইরে পাঠাতে হবে। কিন্তু সেই কালীপুজোয় দেদার শব্দবাজি ফাটায় পর্ষদ বোঝে, রাজ্যে তৈরি শব্দবাজির বড় অংশ এখানেই ফেটেছে। পর্ষদ অনুমতি ফিরিয়ে নেয়।
পর্ষদের এক কর্তার বক্তব্য, দেশের বাকি অংশে বাজির শব্দসীমা ১২৫ ডেসিবেল। কেউ ভিন্ রাজ্যে পাঠাতে শব্দবাজি তৈরি ও মজুত করলে তাঁকে নিষেধ করার আইনি অধিকার পর্ষদের নেই। সেই বাজি এখানে ঢুকলে তা প্রশাসনিক ব্যর্থতা।’’ পরিবেশকর্মী নব দত্ত বলেন, ‘‘আইনের ফাঁক বার করে শব্দবাজির কারখানা চালু রাখার চেষ্টা হচ্ছে।’’ পর্ষদের প্রাক্তন মুখ্য আইন আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সম্ভাব্য বিপদের কথা জানিয়ে পর্ষদে প্রতিবাদপত্র পাঠাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy