নতুনত্ব: পথচারীদের পায়ের নীচে এ ভাবেই জ্বলবে লাল-সবুজ আলো।
মোবাইলে চ্যাট করতে করতে কিংবা কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হচ্ছেন। রাস্তার কোনও দিকেই তাকানোর ফুরসত নেই।
এমন ছবি শহর-শহরতলির সর্বত্র। এর জেরে দুর্ঘটনাও ঘটছে। এই অভিজ্ঞতাকে বিবেচনায় রেখে এ বার নিরাপত্তার নতুন উপায় তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু করেছে নিউ টাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)।
আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ডান দিক, বাঁ দিক কিংবা সামনে রাস্তা পারাপারের জন্য সিগন্যাল রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, অনেকেই সিগন্যালের দিকে তাকান না। পথচারীদের অনেকেই ব্যস্ত থাকেন মোবাইলে কথা বলতে কিংবা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে অন্য কাজ করতে। রাস্তায় গাড়ি চলাচলের দিকে সেই সব পথচারী খেয়াল করেন না। তাঁদের চোখের দৃষ্টি থাকে নীচের দিকে।
তাই রাস্তার মোড়ে চার দিকে বাতিস্তম্ভে সিগন্যাল ব্যবস্থার পাশাপাশি, সেখানকার রাস্তার উপরে আলো বসিয়ে নতুন ধরনের সিগন্যাল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করতে চলেছে এনকেডিএ।
কী ভাবে সেই সিগন্যাল বুঝতে পারবেন পথচারীরা?
এনকেডিএ-র এক কর্তা জানান, প্রাথমিক ভাবে যেটা ভাবা হয়েছে তাতে নতুন ধরনের ওই সিগন্যাল ব্যবস্থা একে অন্যের বিপরীত ভাবে কাজ করবে। অর্থাৎ, রাস্তার সিগন্যাল যখন গাড়ি চলাচলের জন্য সবুজ করা হবে, তখন পথচারীর পায়ের কাছে লাল আলো জ্বলে উঠবে। আবার পথচারী যখন রাস্তা পার হবেন, তখন তাঁর পায়ের কাছে সবুজ আলো জ্বলে উঠবে। সেই সময়ে গাড়ির চালকের সামনের সিগন্যাল লাল হয়ে যাবে। এতে মাথা নিচু করে হাঁটা পথচারীও সিগন্যালের আলো স্পষ্ট দেখবেন।
এনকেডিএ সূত্রের খবর, নিউ টাউনের নারকেলবাগানের কাছে একটি রাস্তায় পরীক্ষামূলক ভাবে সেই কাজ করা হবে। পরীক্ষা সফল হলে নিউ টাউনের সব জায়গায় তা বাস্তবায়িত করা হবে।
কেউ কেউ বলছেন, এই ধরনের ‘ফ্লোর লাইট ফর পেডেস্ট্রিয়ান্স’ খুবই কাজে লাগবে। কিন্তু তাতে রাস্তায় যাঁরা গাড়ি চালাচ্ছেন তাঁরা বিভ্রান্ত হবেন না তো? যদিও এনকেডিএ-র আধিকারিকদের দাবি, সে সম্ভাবনা তৈরি হবে না। কারণ চালকদের দৃষ্টি গাড়ির সামনের দিকেই থাকে। গাড়ি চলাচলের জন্য সিগন্যাল যখন সবুজ থাকবে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই পথচারীদের জন্য আলো লাল থাকবে। তবে পরীক্ষামূলক ভাবে পরিকল্পনা প্রয়োগের সময়ে কেউ বিভ্রান্ত হচ্ছেন কি না, সেই বিষয়টিকেও বিবেচনায় রাখা হবে।
এনকেডিএ-র এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে কিংবা দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সেই আশঙ্কা কমিয়ে আনতেই এমন পরিকল্পনা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy