কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নবান্ন অভিযানে ‘ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ জমায়েতে’ পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং দমনপীড়ন চালিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে এমনই অভিযোগ জানিয়েছিল একটি সংগঠন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নোটিস দিল কলকাতা পুলিশের কমিশনার (সিপি) বিনীত গোয়েলকে। নোটিসের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা দু’সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে সিপিকে।
গত মঙ্গলবার আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’। কোনও সংগঠন নয়, তাঁরা সমাজের প্রতিনিধি— এই মর্মেই নিজেদের পরিচয় দিয়েছিলেন নবান্ন অভিযানের ডাক নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা তিন ছাত্র। গোড়া থেকেই রাজ্যের শাসকদল দাবি করেছিল, অরাজনৈতিক মোড়কে আসলে এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি এবং আরএসএস। নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং দমনপীড়নের প্রতিবাদে মঙ্গলবারই বিজেপি জানিয়ে দেয় যে, বুধবার তারা রাজ্যে ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিতে চলেছে।
নবান্ন অভিযানকে ঘিরে হাওড়া এবং কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনাও ঘটে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের একাংশের বিরুদ্ধে। পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ জমায়েতে লাঠিচার্জ করা এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করার অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে নবান্ন অভিযানকে ‘বেলাগাম, বিশৃঙ্খল তাণ্ডব’ বলে অভিহিত করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মোট ২২০ জনকে।
কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্য হলে চিন্তার বিষয়। পুলিশ শান্তিপূর্ণ জমায়েত সরাতে ‘অতিসক্রিয়তা’ দেখিয়েছে কি না, কিংবা দমনমূলক পদক্ষেপ করেছে কি না, কলকাতার সিপির কাছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, পুলিশের আচরণ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে কি না, তা সিপিকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy