Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
bird

সাঁতরাগাছি ঝিল সংস্কারে আরও ছ’মাস দিল আদালত

সাঁতরাগাছি ঝিল সংস্কারের জন্য আরও ছ’মাস বরাদ্দ করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। এর মধ্যেই সংস্কারে যুক্ত সব পক্ষ অর্থাৎ রাজ্য সরকার, দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, হাওড়া পুরসভা ও ম্যাকিনটশ বার্নকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২০ ০৩:১০
Share: Save:

সাঁতরাগাছি ঝিল সংস্কারের জন্য আরও ছ’মাস বরাদ্দ করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। এর মধ্যেই সংস্কারে যুক্ত সব পক্ষ অর্থাৎ রাজ্য সরকার, দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, হাওড়া পুরসভা ও ম্যাকিনটশ বার্নকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে। কারণ, মামলা শুরুর পরে চার বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও এ বিষয়ে কাজ এগোয়নি বলে জানাচ্ছে আদালত। আগামী বছরের ৪ এপ্রিল বা তার আগে প্রকল্পের কাজের রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৯ এপ্রিল।

পুর এলাকার নিকাশি বর্জ্য পড়ে ঝিলের জল দূষিত হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে ঝিলের আশপাশের বড় বাড়িগুলি পরিযায়ী পাখিদের যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করছে। বেআইনি দখলদারির কারণে ঝিলের একপাশ বুজে আসছে। এই মর্মে সাঁতরাগাছি ঝিলের মামলাটি ২০১৬ সালে পরিবেশ আদালতে শুরু হয়েছিল।

আরও পড়ুন:পুজোয় পর্যাপ্ত সুরক্ষার দাবি দমকলকর্মীদের

ঘটনাপ্রবাহ বলছে, ঝিলে যাতে নিকাশি বর্জ্য না পড়ে, তার জন্য একটি পরিশোধন প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। স্থির হয়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই প্লান্টের জন্য জমি দেবেন। প্রকল্পের খরচ আলোচনার ভিত্তিতে হাওড়া পুরসভা ও রেলওয়ের মধ্যে ভাগ করা হবে। একই সঙ্গে ঝিলের পাশ থেকে দখলদারদের সরানোর সিদ্ধান্তও হয়।

কিন্তু দখলদারদের সরানো, জমি লিজ়-সহ একাধিক বিষয়ে কাজ পিছোতেই থাকছে। অথচ ওই প্লান্ট তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ম্যাকিনটশ বার্ন ২০১৭ সালেই প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ আদালতে জমা দিয়েছিল। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষ ওই রিপোর্ট মেনে নেয়। তার পরেও ‘অজ্ঞাত’ কারণে প্রকল্পের কাজ নিয়ে টালবাহানা চলছিলই, জানাচ্ছেন পরিবেশকর্মীরা।

আরও পড়ুন:কেনাকাটার ভিড়ে বড় বিপদের আশঙ্কা পুজোর আগেই

বিভিন্ন পক্ষের তরফে বিষয়টি নিয়ে শুধু চিঠি চালাচালি হতে থাকে। পরিশোধন প্লান্টের জমির দাম নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘চার বছর ধরে মামলা চলার পরেও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সব পক্ষের গাফিলতির কারণেই এই অবস্থা। নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট তৈরি না হলে ঝিল রক্ষা অসম্ভব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bird Environment Santragachi Lake NGT
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy