Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Road Accident

দুর্ঘটনায় মৃত যুবক, দু’দিন পরে জানল পরিবার 

শুক্রবার সকালেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকে তন্ময়ের দেহ মেলার কথা পুলিশের থেকে জানতে পেরেছেন পরিবারের সদস্যরা।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ ০৮:৪২
Share: Save:

রাঁচী থেকে কলকাতায় ফেরার পথে হদিস ছিল না কলকাতার যুবকের। খড়্গপুর থেকে শেষ বার এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। তার পরে আর ওই যুবকের খোঁজ পাননি তাঁর স্ত্রী। স্বামীর মোবাইলও বন্ধ থাকায় আনন্দপুর থানার দ্বারস্থ হন তিনি। অবশেষে ঘটনার দু’দিন পরে হাওড়ার ডোমজুড় থেকে উদ্ধার হল ওই যুবকের দেহ। প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনাতেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন পরিবারের সদস্যেরা।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৩২-এর তন্ময় কুমার তিলজলার বাসিন্দা। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে সেখানেই থাকছিলেন তিনি। মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত ছিলেন তন্ময়। তবে সময় পেলেই বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন। সপ্তাহখানেক আগে রাঁচীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য তিলজলার বাড়ি থেকে একাই বাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন যুবক। রাঁচীতে ঘোরাঘুরির পরে ৮ তারিখ রাতে সেখান থেকে মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য বেরোন তন্ময়। ওই দিনবেরোনোর পরে দু’-এক বার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথাও হয়। কিন্তু গভীর রাতে স্বামীর আর কোনও খোঁজ পাননি মহিলা। পরিবারের সদস্যেরা জানান, রাত ১টা ৪০ নাগাদ এক বন্ধুর সঙ্গে তন্ময়ের কথা হয়েছিল। তখন তিনি খড়্গপুরে রয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন। এর পরে তন্ময়ের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। শেষে শুক্রবার সকাল থেকে খোঁজখবর শুরু করেন পরিবারের সদস্যেরা। পরেআনন্দপুর থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। থানার তরফে তাঁদের রাঁচী পুলিশে অভিযোগ জানানোর কথা বলা হয় বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি। ঘটনার পরে এক দিন কেটে গেলেও যুবকের কোনও খোঁজ না মেলায় পরিবারের সদস্যেরা লালবাজারের দ্বারস্থ হন।

লালবাজারের তরফেও শুরু হয় খোঁজ। পাশাপাশি, পরিবারের সদস্যেরা খড়্গপুর থেকে কলকাতা আসার রাস্তায় সংলগ্ন থানাগুলিতেও খোঁজ নিতে থাকেন। সেই খোঁজখবরের ফলেই শনিবার রাতে যুবকের সন্ধান পান আত্মীয়েরা। তন্ময়ের এক আত্মীয় বীরেশ্বর মাইতি বলেন, ‘‘শনিবার রাতে ডোমজুড় থানার তরফে ফোন করে আমাদের যেতে বলা হয়। রাতেই আমরা গাড়ি নিয়ে থানায় যাই। পুলিশের তরফে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের পাশ থেকে একটি দেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়। এর পরে আমরা গিয়ে তন্ময়ের দেহ শনাক্ত করি। দুর্ঘটনাতেই তন্ময়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।’’

শুক্রবার সকালেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকে তন্ময়ের দেহ মেলার কথা পুলিশের থেকে জানতে পেরেছেন পরিবারের সদস্যরা। দেহ মেলার পরেও কেন যুবকের পরিজনদের খোঁজ শুরু করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যেরা।যদিও দেহটি থেকে কোনও নথি উদ্ধার না হওয়ায় যুবকের পরিচয় পেতে সমস্যা হয় বলেপ্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার বেলায়ডোমজুড় থানার তরফে তন্ময়ের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Road Accident Youth died
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE