বিমানবন্দরে ট্রে থেকে নিজেদের সামগ্রী সংগ্রহ করছেন যাত্রীরা। এই ছবিটাই এ বার কিছুটা বদলাতে চলেছে। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আগামী মাসে বসতে চলেছে ‘অটোমেটিক ট্রে রিট্রিভাল সিস্টেম’ (এটিআরএস)।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এটি একটি ছোট কনভেয়ার বেল্টের মতো। নিরাপত্তা বেষ্টনীতে দেহের স্ক্যান করিয়ে নেওয়ার পরে এক্স-রে মেশিনের অন্য প্রান্তে পৌঁছে এ বার থেকে যাত্রীরা এই কনভেয়ার বেল্টের সামনে দাঁড়াবেন। যাত্রীর মালপত্র-সহ ট্রে এই বেল্টের উপরে ঘুরতে থাকবে। ঠিক যেমন, চেক ইন লাগেজ কনভেয়ার বেল্টের উপরে ঘোরে। নিজের জিনিসপত্র-সহ ট্রে যাত্রীর সামনে এলে তিনি সেখান থেকে তা তুলে নেবেন। খালি ট্রে বেল্টের উপরে আবার ঘুরতে থাকবে।
এখন নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঢোকার সময়ে যাত্রীর সঙ্গে থাকা পেন, ওয়ালেট, মানিব্যাগ, ঘড়ি, মোবাইল, এমনকি চামড়ার বেল্ট-সহ অন্য সামগ্রী একটি ট্রে-তে রেখে তা এক্স-রে মেশিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মেশিনের অন্য প্রান্তে সেই ট্রে পৌঁছে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে। যাত্রীরা নিজেদের জিনিস তুলে সেখানেই খালি ট্রে রেখে চলে যান। সেই খালি ট্রে নিরাপত্তা কর্মীদের এক প্রান্ত থেকে তুলে অন্য প্রান্তে নিয়ে আসতে হয়। অভিযোগ, তাতে অনেক সময় নষ্ট হয়। অপচয় হয় লোকবলেরও। যদিও এই ব্যবস্থায় তাঁদের খুব সুবিধা হবে বলে মনে করছেন না যাত্রীদের একটি অংশ। কারণ, এখনও তাঁদের জিনিসপত্র ট্রে-তে রেখে আবার তা তুলে নিতে হচ্ছে। নতুন ব্যবস্থাতেও তাই হবে। বরং সুবিধা হবে নিরাপত্তারক্ষীদের।
কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘আপাতত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি দু’টি এটিআরএস বসবে। আগামী এপ্রিলে আরও ১০টি এটিআরএস আসবে। ঠিক হয়েছে, সবগুলিই কলকাতা বিমানবন্দরের ডোমেস্টিক সিকিউরিটি চেক এলাকায় বসবে।’’ বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এক একটির জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ হবে। চিনের একটি সংস্থা এই মেশিন বানানোর বরাত পেয়েছে। সেখান থেকে জাহাজে দু’টি মেশিন কলকাতায় রওনা হয়েছে। কলকাতা ছাড়াও দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে এই মেশিন বসানো হবে বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর। কলকাতা বিমানবন্দরের ডোমেস্টিক এলাকায় এই মেশিনের ব্যবহার সফল হলে আন্তর্জাতিক এলাকাতেও তা ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ভুল করে অন্যের ট্রে থেকে যাত্রী জিনিস নিয়ে চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও অনেক সময়েই ঘটেছে। নতুন ব্যবস্থার ফলে সংশ্লিষ্ট যাত্রী আগাম জানবেন, কোন ট্রে-র ভিতরে তাঁর জিনিস রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভুলের সম্ভাবনা নেই। ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ অন্যের ট্রে থেকে জিনিস তুলে নিলে তা ধরা পড়ে যাবে সিসি ক্যামেরায়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এই যন্ত্রের জন্য মাস ছয়েক আগে বিশ্ব জুড়ে দরপত্র ডাকা হয়। সর্বনিম্ন দরপত্র দিয়ে এক চিনা সংস্থা বরাত পায়। এর পরে সেই সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি যাচাই করেই সম্প্রতি মন্ত্রক থেকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy