ফাইল চিত্র।
শপথ গ্রহণের জন্য এক-এক করে নাম ঘোষণা হচ্ছিল তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের। প্রতিবারই হাততালি আর স্লোগানে মুখরিত হচ্ছিল রবীন্দ্র ভবন। অন্যদের সঙ্গেই মঞ্চে বসে ছিলেন দুই নির্দল প্রার্থী, দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় (ফুচু) এবং রীতা রায়চৌধুরী। তাঁদের নাম ঘোষণার পরে কী হয়, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল সকলের। দেখা গেল, তাঁদের শপথ গ্রহণের সময়েও হাততালি পড়ল, যদিও তুলনায় খানিকটা কম। মঙ্গলবার দমদমের রবীন্দ্র ভবনে দক্ষিণ দমদম পুরসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এমনই ছবি দেখা গেল।
দেবাশিস ও রীতা এ বারে দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ে জয়ী হন। নির্বাচনের পরে দুই প্রার্থীই জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শেই তাঁরা অনুপ্রাণিত। তাঁর সঙ্গে তাঁরা আগেও ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। এর পরেই নির্দল প্রার্থীদের দলে ফেরানোর সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদিও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
পুরসভার ক্ষমতা কাদের হাতে যাবে, তা নিয়েও আগ্রহ ছিল দলের সাধারণ কর্মী থেকে বাসিন্দাদের মধ্যে। এ দিন চেয়ারম্যান হিসেবে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থী কস্তুরী চৌধুরীর নাম এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থী নিতাই দত্তের নাম ঘোষিত হয়। কস্তুরী এর আগে কাউন্সিলর এবং নিতাই ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর ছিলেন। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আগের পুরবোর্ড উন্নয়নের যে কাজ শুরু করেছিল, সেটাই বজায় রাখবেন তাঁরা।
এ দিন সকালে দমদম পুরসভারও শপথ গ্রহণ ছিল। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচিত হন যথাক্রমে হরিন্দর সিংহ এবং বরুণ নট্ট। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ও জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম।
হরিন্দর জানান, গত পুর বোর্ড যে উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিল, সেটাই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে সব চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে নিকাশির সংস্কারে। ভূগর্ভে নিকাশি নালা তৈরির উপরেও জোর দেবেন তাঁরা, জানান হরিন্দর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy