রবীন্দ্র সরোবর লেক। ফাইল চিত্র
রবীন্দ্র সরোবরে এ বছরেও ছটপুজো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আদালত। তাই বিকল্প হিসাবে ৩৯টি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করছে কলকাতা পুরসভা। শহরে কেএমডিএ ও কলকাতা পুরসভা মিলিয়ে ছটপুজোর জন্য ১৩৮টি ঘাটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সোমবার ছটপুজো নিয়ে সমন্বয় বৈঠকের পরে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন ফিরহাদ হাকিম এ কথা জানান।
এ দিন ফিরহাদ বলেন, ‘‘রবীন্দ্র সদন থেকে রবীন্দ্র সরোবর পর্যন্ত এলাকায় ৩৯টি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হয়েছে। সরোবরে যাতে মানুষ না যান, তার জন্য পুরসভার তরফে প্রচার চলছে। আদালতের নির্দেশমতো পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’
ছটপুজোর প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে এ দিন পুরভবনে সমন্বয় বৈঠক করেন ফিরহাদ। রেল ছাড়াও বন্দর, পূর্ত, দমকল, ভারতীয় নৌবাহিনী, কলকাতা পুলিশ, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। ছটপুজো চলাকালীন প্রতিটি বিভাগের কী কী করণীয়, তা নিয়ে পর্যালোচনা করেন ফিরহাদ।
পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের বিভিন্ন ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করবে পুরসভার আলো বিভাগ। নিয়ম মেনে ছটপুজো পালন করতে পুরসভার তরফে ঘাটে ঘাটে প্রচার করা হবে। ঘাটে ব্যারিকেড তৈরি করবে পূর্ত দফতর। গঙ্গায় নিরাপত্তা ও নজরদারির দায়িত্বে থাকবে কলকাতা বন্দর ও ভারতীয় নৌবাহিনী। ঘাটগুলিতে জীবাণুনাশের ব্যবস্থা করবে পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগ। প্রতিটি ঘাটে আবর্জনা ফেলার অস্থায়ী ভ্যাট পরিষ্কারও করবে ওই বিভাগ। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় ঘাটে দমকলের গাড়িও থাকবে। বৈঠকে উপস্থিত দমকলের প্রতিনিধিকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন ফিরহাদ।
ফিরহাদ আরও জানান, ছটপুজো উপলক্ষে আগামী ১০ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত সার্কুলার রেল বন্ধ রাখবেন রেল কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ঘাটে পানীয় জলের পর্যাপ্ত ট্যাঙ্ক এবং আহতদের চিকিৎসায় মেডিক্যাল দল থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy