এই চেয়ারে বসতেন নেতাজি।
আজ ২৩ জানুয়ারি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী। ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ করলেও সুভাষচন্দ্রের ছাত্রজীবন কাটে কলকাতায়। তাঁর কর্মকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী শহর কলকাতা। শহরের অন্য স্থানের মতো এক টুকরো ইতিহাস রয়ে গিয়েছে কলকাতা পুরসভায়। এক সময় এই পুরসভার মেয়র হয়েছিলেন সুভাষ। ১৯৩০ সালের ২২ অগস্ট থেকে ১৯৩১ সালের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি কলকাতার মেয়র পদে ছিলেন। মোট ২৩৬ দিন। এত কম সময় কলকাতা পুরসভার মেয়র থাকলেও, তাঁর কর্মকাণ্ডের ছাপ রয়ে গিয়েছে পুরসভার ইতিহাসে, তার অলিন্দে, আসবাবে।
মেয়র থাকাকালীন নেতাজি যে চেয়ারে বসতেন, সেই চেয়ারটি এখনও রয়েছে কলকাতা পুরসভায়। সারা বছর সুভাষের সেই চেয়ার রাখা থাকে কলকাতা পুরসভার মেয়রের অফিসে ওঠার সিঁড়ির পাশে। ওঠানামা করার সময় কখনও চোখে পড়ে, কখনও আবার চোখে পড়ে না চেয়ারটি। কালের সঙ্গে এত টুকুও গরিমা হারায়নি সুভাষের স্মৃতিবিজড়িত চেয়ারটি। বরং পরের পর প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেয় এই চেয়ারটি।
পরাধীন ভারতে কলকাতার মেয়র ছিলেন সুভাষ। হাল আমলের মেয়রদের মতো তাঁর কাজ সহজ ছিল না। শহরবাসীর দাবি মেটাতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হত তাঁকে।
স্বাধীনতার পর তাঁর স্মৃতিবিজড়িত চেয়ারটি কলকাতা পুরসভার অধীনে রাখা হয়। এ বছর নেতাজির ১২৫তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ ভাবে সাজানো হয়েছে ওই চেয়ারটি। আগামীর অনুপ্রেরণা হিসেবে। চেয়ারটি সঙ্গে রাখা হয়েছে নেতাজির একটি মূর্তি। কলকাতা পুর প্রশাসনের পক্ষে সারা বছর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় চেয়ারটি। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘শুধু মেয়র বা মেয়র পারিষদরা নন, কলকাতা পুরসভার প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি ব্যক্তি যেন নেতাজির ওই চেয়ারটি দেখে অনুপ্রেরণা পেতে পারেন, সেই কারণেই আমরা ওই চেয়ারটি সারা বছর একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিই।’’ সঙ্গে জুড়ে দেন, ‘‘আমরা আশা করব আগামী যে সমস্ত প্রজন্ম কলকাতা পুরসভা শাসন করবে, তাঁরাও যেন এই চেয়ারটির মর্যাদা রক্ষা করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy