আমেরিকা এবং কানাডা থেকে মাদক পাচার করা হচ্ছিল কলকাতায়।
শহরে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের পর্দা ফাঁস করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। আমেরিকা এবং কানাডা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার করা হচ্ছিল কলকাতায়। শনিবার ২০ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি। ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে মাদক পাচার করা হতো বলে জানা গিয়েছে।
ওই পাচারচক্রে জড়িত সন্দেহে দু’জন মহিলা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। ধৃতেরা হলেন, শ্রদ্ধা সুরানা, তারিনা ভাটনগর এবং করণ কুমার গুপ্ত।
আমেরিকা এবং কানাডা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক আসছে ভারতে। এবং সেগুলো আসছে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে। ওই মাদক কলকাতা হয়ে পাচার হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। গোপন সূত্রে এই খবর পাওয়ার পরই সতর্ক হয়ে যায় এনসিবি। পাচারকারীদের ধরার জন্য ফাঁদ পাতেন এনসিবি-র আধিকারিকরা। তার পরই শনিবার সেই জালে মাদক-সহ ধরা পড়েন পাচারকারীরা। বিপুল পরিমাণ মাদক কলকাতা হয়ে কোথায় যাচ্ছিল তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
#Thread| NCB, Kolkata Zone busts a major racket of a special variety of Marijuana being smuggled via courier services.This variety contains World’s Strongest Marijuana Strain-THC level as high as 19-25%.This variety is not available in India & is one of the costliest in the world pic.twitter.com/twVnwKF3Tc
— Pooja Mehta (@pooja_news) July 31, 2021
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, যে ধরনের গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল তা বিশ্বের সবচেয়ে দামি এবং কড়া প্রজাতির। ভারতে এই ধরনের গাঁজা পাওয়া যায় না। এই গাঁজাতে উচ্চ মাত্রায় টিএইচসি (টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল) থাকে।
জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছেন, ডার্ক নেট ওয়েব প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করেই মাদকের বরাত নেওয়া হয়। তার পর সেই মাদক ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। ড্রাগ ল এনফোর্সমেন্টের আধিকারিকদের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্যই এ ভাবে মাদক পাচার চলত। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিতে পেরেছেন যে, সিমরন সিংহ নামে ভুয়ো পরিচয়ে এই মাদক পাচারের কাজ সামলাতেন শ্রদ্ধা সুরানা। তাঁর কাছ থেকে ভুয়ো আধার কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। টেলিভেন্ডের মাধ্যমে মাদকের বরাত দিয়েছিলেন তারিন ভাটনগর। আর করণ গুপ্ত এই মাদক সরবরাহ করতেন কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়।
এনসিবি জানিয়েছে, খেলনা, প্রসাধনী দ্রব্যের আড়ালে গত ২৭-৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ৪২টি বিদেশি পার্সেল কলকাতায় সরবরাহ করা হয়েছে। এই মাদকচক্রের জাল কত গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে এনসিবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy