অনিয়ম: অতিরিক্ত ওজন চাপানোর জেরে ফেটে যায় এই ট্রাকের চাকা। বুধবার, বারাসতের ১১ নম্বর রেলগেটের কাছে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
অতিরিক্ত ওজন নিয়ে কলকাতামুখী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ম না মেনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে উঠে পড়েছিল। অতিরিক্ত ওজন বহনের জেরে বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ বারাসতের ১১ নম্বর রেলগেটের কাছে টায়ার ফেটে যায় ট্রাকটির। রাস্তার মাঝে ট্রাকটি দাঁড়িয়ে পড়ায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। রাস্তায় থেমে যেতে বাধ্য হয় গাড়ি, এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সও। ওই সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যানবাহনের রুট ডাকবাংলো মোড় থেকে যশোর রোডে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু এ দিনই নয়, প্রশাসনের গাফিলতিতে প্রতিদিনই বারাসতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে ভুগতে হয়। নিয়ম না মেনে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ট্রাক চলে সব সময়ে। অভিযোগ, সে সব বন্ধ করা তো দূর, উল্টে বারাসতের বিভিন্ন মোড়ে ট্রাক থামিয়ে তোলা নিতেই ব্যস্ত থাকে ট্র্যাফিক পুলিশ। ডাকবাংলো, চাঁপাডালি, হেলাবটতলা, হৃদয়পুর ও কলোনি মোড়ে অনভিজ্ঞ সিভিক ভলান্টিয়ারেরা যান নিয়ন্ত্রণ করেন।
আদালতের নির্দেশে জাতীয় সড়কে ওঠা বারণ থাকলেও বারাসত এমনই জায়গা, যেখানে দুই জাতীয় সড়কে অবলীলায় চলে ই-রিকশা, টোটো, ভ্যানো কিংবা রিকশাভ্যান। তার পিছনে ঢিমেতালে চলতে হয় উত্তরবঙ্গ, বাংলাদেশগামী যানবাহনকেও। এ বিষয়ে পুরসভা, পুলিশ বা প্রশাসনকে প্রশ্ন করলে দায় এড়িয়ে গিয়েছে সব পক্ষই।
এ দিন ঘটনার পরে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, ‘‘ট্রাকটির জন্য কী ভাবে রাস্তা আটকাল দেখা হচ্ছে।’’ এর পরে পুলিশ গিয়ে ট্রাকটি সরানোর ব্যবস্থা করে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের জাগুলিয়া মোড় থেকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে চলাচল করত মালবাহী ট্রাকগুলি। ফলে বারাসতে যানজট ছিল না। আরও অভিযোগ, পুলিশের তোলাবাজির জন্য বারাসত শহরে জোর করে ঢোকানো হচ্ছে মালবাহী ট্রাককে। তবে নদিয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy