পুলিশের জালে সাইবার প্রতারক। নিজস্ব চিত্র।
দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলি অনলাইনে কবে টেন্ডার ছাড়বে, সেই অপেক্ষায় ওঁত পেতে বসে থাকত দুর্গাপুরের বাসিন্দা শ্যাম মৈত্র। টেন্ডার বেরোলেই আসরে নামত শ্যাম ও তার দলবল। শুরু হত কেরামতি। বয়ান ও টাকার অঙ্ক বদলে একই টেন্ডার নতুন করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিত সে। সেই টেন্ডার দেখে কেউ যোগাযোগ করলে তাঁর কাছ টাকা চলে আসত নিজেদের অ্যাকাউন্টে। এতটাই নিপুণভাবে ভুয়ো টেন্ডার বানানো হত, যে আসল-নকল বুঝতে পারতেন না কেউই।
পুদুচেরি, কোয়ম্বাতুর, গুরুগ্রাম, দিল্লি। শ্যামের জাল ছড়ানো ছিল সারা দেশেই। প্রতারণার ফাঁদে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়াতেন সারা দেশের ব্যবসায়ীরা। একই ভাবে প্রতারিত হয়েছিলেন পুদুচেরির ব্যবসায়ী প্রশান্ত বনশল। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমেছিল পুদুচেরি সিআইডি। অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ও কল রেকর্ড খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, কলকাতার একটি হোটেলে লুকিয়ে রয়েছে সে। এরপরই এই রাজ্যের সিআইডি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন পুদুচেরির সিআইডি আধিকারিকেরা। অবশেষে শনিবার ই এম বাইপাসের ধারে একটি হোটেল থেকে শ্যামকে গ্রেফতার করেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে পুদুচেরি নিয়ে যাবেন তদন্তকারী সিআইডি অফিসাররা।
জানা গিয়েছে, শ্যাম ও তার দলবল দেশজুড়ে প্রতারণা করে এভাবেই কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। সারা দেশে প্রায় দশ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy