গত দু’দিনে তন্নতন্ন করেও মেয়েকে খুঁজে পাননি বাড়ির লোকজন। অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস
সাতসকালে বাড়ির বাইরে খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বছর সাতেকের এক শিশু। গত দু’দিনে তন্নতন্ন করেও মেয়েকে খুঁজে পাননি বাড়ির লোকজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির কাছে একটি ডোবার মধ্যে মিলল শিশুটির বিবস্ত্র দেহ। বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছির একটি গ্রামের ঘটনা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ এলে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় লোকজন। পুলিশ শিশুটির দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই মেয়েটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও ধরন জানা যাবে। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির বাবা কর্মসূত্রে ভিন্ রাজ্যে থাকেন। তার মায়ের মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে পরিজনেরা জানিয়েছেন। শিশুটির দিদিমা তাদের বাড়িতেই থাকেন। গত কয়েক দিন অবশ্য সেখানে ছিলেন না তিনি। মায়ের সঙ্গে একাই ছিল মেয়েটি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ির বাইরে খেলতে যায় সে। তার পর থেকেই আর তার খোঁজ মেলেনি। মেয়ে না ফেরায় বেলার দিকে খোঁজ শুরু হয়। দিনভর খোঁজাখুজির পরেও তার সন্ধান না মেলায় কদম্বগাছি ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। বুধবার পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা কদম্বগাছি এবং আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালান। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে পাশের গ্রামে এক শিশুকন্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের খবর রটে যায় এলাকায়। পুলিশ সেখানে গিয়ে ওই শিশুটির সন্ধান পায়নি। দেখা যায় পুরোটাই গুজব।
এ দিন দুপুরে গ্রামেরই একটি মজে যাওয়া ডোবা থেকে পচা গন্ধ পান স্থানীয় এক বাসিন্দা। তার পরেই সেখানে শুরু হয় তল্লাশি। দুপুর একটা নাগাদ ওই ডোবায় শিশুটির দেহ ভাসতে দেখা যায়। তার দেহে কোনও পোশাক ছিল না।
খবর ছড়াতেই সেখানে ভিড় জমে যায়। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। ফাঁড়ির পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। ঘটনার যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়ে দেহ উদ্ধার করে তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির পোশাক পড়ে ছিল ডোবার ধারে। মৃতার পরিবারের লোকজন জানান, পচন ধরলেও দেহের কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। মেয়ের দেহ মেলার পর থেকেই ঘনঘন জ্ঞান হারাচ্ছেন তার মা। বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে শিশুকন্যার ঝুলন্ত দেহের গুজব রটানোর সঙ্গে এই শিশুটির মৃত্যুর কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy