প্রতীকী ছবি।
লুটপাটের ঘটনার তদন্তে নেমে আরও কয়েক জন অভিযুক্তের সঙ্গে তাকেও গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্রের ঠাণের গণেশপুর থানার তদন্তকারীরা। সেখানে তার বক্তব্যে অসঙ্গতি পেয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। ভাল করে জেরা শুরু হতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বেড়াল। জানা যায়, ওই অভিযুক্ত নিজের আসল পরিচয় গোপন করে রয়েছে। কলকাতায় চার বছর আগে হওয়া একটি খুনের মামলায় তাকে খুঁজছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আদালত হুলিয়া পর্যন্ত জারি করেছে।
লালবাজার জানিয়েছে, নিজেকে আব্দুল রাজু সাজিদ কুরেশি বলে পরিচয় দিলেও ওই অভিযুক্তের আসল নাম জাভেদ সামসুজ্জা খান। তার বাড়ি মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে। ২০১৫ সালের ১৪ মে কড়েয়া থানা এলাকার মিয়াঁজান ওস্তাগর রোডে ঠাণের বাসিন্দা শৈলেশ সম্পতরাও সিন্ধেকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সে। গণেশপুর থানার পুলিশ গত মাসে তাকে গ্রেফতার করেছিল। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা আলিপুর আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ঠাণের জেলে গিয়ে তাকে জেরা করে। তার পরেই স্থানীয় আদালতের অনুমতি নিয়ে জাভেদকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ওই মামলার সরকারি কৌঁসুলি জানান, শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে জাভেদকে ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালের ১৪ মে ভোরে কড়েয়ার মিয়াঁজান ওস্তাগর রোডের পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল শৈলেশ সম্পতরাও সিন্ধেকে। ঠাণেতে শৈলেশের পরিস্রুত পানীয় জলের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। সেখানে শ্রমিক সরবরাহ করত জাভেদ ও রবিকান্ত নামে আর এক ব্যক্তি। ঘটনার কয়েক দিন আগেই জাভেদ ঠাণে থেকে কলকাতায় এসে কড়েয়া এলাকার একটি হোটেলে উঠেছিল। সেখানেই তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল মহম্মদ শাহনওয়াজ নামে এক ভাড়াটে খুনি। ঘটনার দিনই শিয়ালদহ থেকে রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল শাহনওয়াজকে। ধৃত দাবি করেছিল, জাভেদই তাকে খুনের বরাত দিয়েছিল। সেই মতো ঘটনার আগে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল সে। খুনের পরেই জাভেদ ও আর এক অভিযুক্ত রবিকান্ত শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
সরকারি কৌঁসুলির দাবি, আদালতে শাহনওয়াজের বিচারপর্ব চলছে। সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যেই জাভেদ ও রবিকান্ত সিন্ধের বিরুদ্ধে আদালত হুলিয়া জারি করেছিল। গত মাসেই লুটের ঘটনায় জাভেদ গ্রেফতার হয় ঠাণেতে। পুলিশি জেরায় সে খুনের জন্য সুপারি দেওয়ার কথা স্বীকারও করে। তদন্তকারীদের দাবি, পলাতক রবিকান্তই জাভেদকে টাকা দিয়েছিল শৈলেশকে খুন করানোর জন্য। রবিকান্তের সঙ্গে শৈলেশের ব্যবসায়িক গোলমাল চলছিল। তার জেরেই ওই খুনের ঘটনা বলে দাবি জাভেদের। রবিকান্ত কোথায় রয়েছে, তা জানতে জাভেদকে জেরা করা হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy