প্রতীকী ছবি।
পুলিশি হেফাজতেই সোমবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন যোধপুর পার্কের বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে এসএসকেএমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা প্রাথমিক পরীক্ষার পরে ছেড়ে দেন। প্রসঙ্গত, দেবাশিসবাবুকে আলিপুর আদালত আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, হৃদ্যন্ত্রে আগে থেকেই সমস্যা রয়েছে ৬৩ বছরের দেবাশিসবাবুর। তিনি নিয়মিত চিকিৎসার মধ্যেও ছিলেন। পরিবারের লোকেরা পুলিশের কাছে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সে কারণে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীনও রোজ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করানো হয়। সোমবার রাতেও থানায় এসে পরিজনেরা দেবাশিসবাবুর সঙ্গে দেখা করেছেন।
গত ৪ এপ্রিল যোধপুর পার্কের একটি চারতলা আবাসনে খুন হন পঁচাত্তর বছরের শ্যামলী ঘোষ। ঘটনার দু’দিন পরে গ্রেফতার হয় আবাসনের মালি স্বপন মণ্ডল ও নিরাপত্তারক্ষী সঞ্জীব দাস। জেরায় তারা দাবি করে, দেবাশিসবাবুই তাদের খুন করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন। এর পরে ওই সংক্রান্ত কিছু তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। তা থেকে তাঁরা দাবি করেন, খুনের মূল চক্রী দেবাশিসবাবুই। এ দিন সরকারি কৌঁসুলি সৌরীন ঘোষাল দাবি করেন, বৃদ্ধার ফ্ল্যাট দখল করতে না পেরেই দেবাশিসবাবু তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেন।
পুলিশ জেনেছে, ফ্ল্যাটটি ছিল শ্যামলীদেবীর বাবার নামে। সেটি নিজের ও বোনের নামে করার চেষ্টা করছিলেন বৃদ্ধা। তাতে বাধা দিচ্ছিলেন দেবাশিসবাবু। ওই আবাসনে সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের চারটি ফ্ল্যাট আছে। বাকি দুই আবাসিকের ফ্ল্যাট দেবাশিসবাবু আগেই দখল করেন বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, শ্যামলীদেবীর ফ্ল্যাটটি হস্তগত করতে পারলেই গোটা আবাসনের মালিক হওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। যদিও দেবাশিসবাবু আদালতে বারবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তাঁর আইনজীবীরাও একই কথা জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, খুনের পরে বৃদ্ধার ফ্ল্যাট থেকে একটি ডায়েরি মিলেছিল। তাতে ফ্ল্যাট হাতিয়ে নিতে তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে কয়েক জনের নাম লিখে রেখেছিলেন শ্যামলীদেবী। তদন্তকারীদের দাবি, সেই তালিকায় ছিল দেবাশিসবাবুর নামও। লালবাজার সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে এই ঘটনার চার্জশিট জমা পড়তে পারে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy