ফাইল চিত্র
করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন খাতে আয় না-হওয়ার জেরে এমনিতেই পুরসভার কোষাগার প্রায় শূন্য। অন্য দিকে, চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে পুর বাজেটের মেয়াদ। ফলে, পুর কর্তৃপক্ষ নতুন বাজেট বরাদ্দ না করলে শহরের পুর পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই চলতি মাসেই বাজেট বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সেপ্টেম্বরেই বাজেটের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার পরেই পুর পরিষেবা বহাল রাখতে ভোট অন অ্যাকাউন্ট করে আগামী কয়েক মাসের জন্য বিভিন্ন খাতে আয় এবং ব্যয়ের হিসেব বরাদ্দ করা হবে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, গত মে মাসে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে পুর নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। পুরবোর্ড ভেঙে যায়। পরে আদালতের নির্দেশে বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স বা প্রশাসকমণ্ডলী গঠিত হয়। প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান হন প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রাক্তন মেয়র পারিষদেরা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য হন। এ ছাড়াও, পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরেরা ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পুর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পরিষেবামূলক খাতে আয়-ব্যয়ের জন্য ভোট অন অ্যাকাউন্ট-এর
মাধ্যমে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ করেছিলেন। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নতুন নির্বাচিত পুরবোর্ডের
প্রতিনিধিরা পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরি করবেন। এখন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের হাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা দেওয়া থাকলেও তাঁদের আলাদা করে পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরি করার ক্ষমতা নেই। সে ক্ষেত্রে আপাতত বিভিন্ন পুর পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে ফের ভোট অন অ্যাকাউন্ট করে আগামী তিন বা ছ’মাসের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হতে পারে।
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ (আইন) বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আইন মেনেই বাজেট করা হবে। আইন মোতাবেক পূর্ণাঙ্গ বাজেট পাশ করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে পুরসভাকে ভোট অন অ্যাকাউন্ট করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy