প্রতীকী ছবি।
উৎসবের দিনগুলিতেও আটকানো গেল না পথ দুর্ঘটনা। কোথাও বেপরোয়া মোটরবাইক ধাক্কা মারল পথচারীকে, কোথাও আবার বেপরোয়া বাস পিষে মারল একাধিক জনকে। কোথাও আবার উৎসবের রাতে দুর্ঘটনার মুখে পড়লঅ্যাপ-ক্যাব।
পঞ্চমী থেকে দশমীর রাত পর্যন্ত শহরের রাস্তায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। আহত হয়েছেন ১৫ জনের বেশি। সব থেকে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার, বিজয়া দশমীর রাতে। শিয়ালদহের কাছে বিদ্যাপতি সেতুর উপরে একটি বেপরোয়া বেসরকারি বাস পিষে দেয় একের পর এক পথচারীকে। সেই ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়। দু’টি বাসের রেষারেষির জেরেই ওই দুর্ঘটনা বলে জানা গিয়েছে।
পঞ্চমীর রাতে আবার নারকেলডাঙা থানা এলাকার মানিকতলা মেন রোডে একটি অ্যাপ-ক্যাবের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পথচারীর। রাত আটটা নাগাদ বেপরোয়া গতিতে এসে বছর ষাটের ওই মহিলাকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। গুরুতর জখম ওই প্রৌঢ়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সপ্তমীর সকালেও চিৎপুর এলাকায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক জনের। এ ছাড়া, উৎসবের দিনগুলিতে প্রগতি ময়দান, মানিকতলা, এন্টালি-সহ কলকাতা পুলিশের একাধিক থানা এলাকায় বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। কার্যত প্রতিটি ক্ষেত্রেই বেপরোয়া গতির ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জেনেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছিল, বেপরোয়া বাইক রুখতে নজরদারির পাশাপাশি পুজোয় অতিরিক্ত বাহিনী নামানো হবে। পুজোর পরে পুলিশের বক্তব্য, সেই নজরদারির ফাঁক গলেই উৎসবের নামে বিধি ভাঙার নানা ঘটনা ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশের সামনেই গতির তুফান তুলে বাইক বা গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, হেলমেট ব্যবহার না করা, একাধিক জনকে বাইকে বসানোর মতো অভিযোগ তো আছেই।
পুজোর মধ্যে ই এম বাইপাসে গাড়ি সামলানো এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী বললেন, ‘‘উৎসবের নামে বিধি ভাঙাটা তো একটা পুরনো রোগ। রাতের দিকে কিছু গাড়ি এমন ভাবে চলে যে, সামনে দাঁড়ানোটাই যেন একটা ঝুঁকির ব্যাপার। কত নজরদারি চালাব? যতটা সম্ভব নজরদারি চলেছে।’’
লালবাজারের তরফে অবশ্য উৎসবের মধ্যেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত শহরের রাস্তায় বিধি ভাঙার জন্য মোট ৩৪ হাজার ৬৮৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে বিনা হেলমেটে বাইক চালানোর অভিযোগে ৭৩০২টি মামলা রুজু করেছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত গতিতে ও বিনা নথিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগেও। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগে মামলার সংখ্যা ৫৭৭৫টি। সেই সঙ্গে নো-পার্কিং জ়োনে গাড়ি রাখার অভিযোগে মামলা হয়েছে ১১ হাজার ৪৯৪টি। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুলিশের তরফে রাত-দিন নজরদারি চলেছে। কন্ট্রোল রুম থেকে নজর রাখার পাশাপাশি প্রযুক্তির সাহায্যও নেওয়া হয়েছে। বিধি ভাঙায় কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy