প্রতীকী ছবি।
নিউ টাউনে ক্রমেই বাড়ছে গাড়ির চাপ। লকডাউনে বন্ধ থাকার পরে বিনোদন পার্ক থেকে শপিং মল বা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার অফিস ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে খুলে যেতে পারে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার অফিসও। সেই কারণে অদূর ভবিষ্যতে গাড়ির সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলেই আশঙ্কা বাসিন্দাদের। সে কথা মাথায় রেখেই পার্কিংয়ের সমস্যা মেটাতে এ বার একটি বহুতল পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে হিডকো।
ওই সংস্থা সূত্রের খবর, বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারের কাছেই গড়ে তোলা হবে বহুতল ওই পার্কিং। সেখানে বাস ও গাড়ি মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার যানবাহন রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
হিডকো-র এক কর্তা জানান, নিউ টাউনের ইকো পার্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায় যেমন বহু মানুষ রোজ ভিড় করেন, তেমনই প্রতিদিন তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার অফিসে আসেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। আর কয়েক বছরের মধ্যেই নিউ টাউনে তথ্যপ্রযুক্তি হাবের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি অফিস চালু হওয়ার কথা। তার ফলে সেখানে গাড়ির সংখ্যাও বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। সেই কারণেই যত্রতত্র গাড়ি রাখার প্রবণতা আটকাতে ওই বহুতল পার্কিং তৈরির কথা ভাবা হয়েছে।
শুধু নিউ টাউন নয়, গাড়ি রাখার সমস্যা মেটাতে সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে ইতিমধ্যেই বহুতল পার্কিং তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই সেক্টরের প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের এক কর্তা জানান, এ-কিউ ১১ নম্বর প্লটে পুরোদমে সেই কাজ চলছে। দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।
নিউ টাউনের বাসিন্দাদের মতে, ওই এলাকায় যে ভাবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শপিং মল, বিনোদন পার্ক তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে, তাতে আগামী দিনে গাড়ি রাখার সমস্যা দেখা দেবেই। এখনই আবাসিক এলাকায় যত্রতত্র গাড়ি রাখার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাই পার্কিংয়ের সুবন্দোবস্ত করা না গেলে মুশকিল।
হিডকো সূত্রের খবর, নিউ টাউনের অন্যান্য এলাকায় পার্কিংয়ের সমস্যা কী ভাবে মেটানো যায়, সে ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy