মশার উপদ্রব দমদমে। — ফাইল চিত্র।
আবহাওয়ার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হতেই মশার উপদ্রব বাড়ার অভিযোগ করছেন দমদমের তিনটি পুর এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, খাল, নালা, জলাশয় সংলগ্ন এলাকায় এই সমস্যা বেশি। অভিযোগ পুরোপুরি স্বীকার না করলেও তিন পুরসভার পুরপ্রতিনিধিদের কারও কারও মত, কিছু কিছু জায়গায় বিকেল থেকে রাত মশার উপদ্রব বাড়ে। তাঁদের দাবি, বছরের শুরু থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। পাশাপাশি, মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণেও নজর রয়েছে।
অব্যবহৃত বাড়ি, পরিত্যক্ত জমি, কারখানা, গুদামের ক্ষেত্রে পুর প্রশাসনের নজর যে মোটেও সন্তোষজনক নয়, সেই অভিযোগ করছেন সিংহভাগ বাসিন্দাই। দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দা আশিস রায়ের কথায়, ‘‘বছরের শুরু থেকে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর দিলে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ তো কমে যেত। কিন্তু আদতে এমন প্রতিশ্রুতি শুধু শোনাই যায়, আখেরে তেমন তৎপরতা একেবারেই দেখা যায় না।’’ দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক পুরপ্রতিনিধির দাবি, চলতি বছরের শুরু থেকে কাজ চলছে। বিগত বছরগুলিতে যে সব জায়গায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেশি হয়েছিল, সেই সব জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ওই জায়গাগুলিতে ঝোপ-জঙ্গল সাফাই এবং মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে গতি বাড়ানো হবে। মাসের ২৬ দিন এই কাজ চলবে।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানাচ্ছেন, ব্যক্তিগত অব্যবহৃত জমি, বাড়ি, গুদাম বা কারখানার মালিকদের নোটিস পাঠানো হবে। তা সত্ত্বেও তাঁরা নিজেদের জায়গা পরিষ্কার না করলে পুরসভা আইনি পদক্ষেপ করবে। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাসও মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে গতি বাড়ানোর কথা বলছেন। সেই সঙ্গে ফাঁকা জমি, বাড়ি, গুদাম বা কারখানার মালিকদের তাঁদের অংশ পরিষ্কাররাখতে বলা হবে। একই দাবি দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্টের। তাঁর মতে, প্রতিটি ওয়ার্ডে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজের দায়িত্ব ভাগ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy