ফাইল চিত্র।
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে কসবায় মঙ্গলবার রাতে বোমাবাজি করে দুই দুষ্কৃতী দলের সদস্যেরা। পরদিন, অর্থাৎ বুধবার রাতে কসবারই অন্য একটি এলাকায় মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির কাছেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। লালবাজার জানিয়েছে, ওই দুই ঘটনায় মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া, দু’টি ঘটনাতেই জড়িত থাকার অভিযোগে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দু’জনকে।
বেহালা, কসবা এবং যাদবপুরের বিভিন্ন জায়গায় বুধবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে শুধু ওই রাতের গোলমালের জন্য ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের থেকে তিনটি মোটরবাইক এবং বোমার মশলা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের নাম অশোক বৈদ্য, রাহুল রাই, সোনু সাউ, গৌতম মণ্ডল, ভোলা পাসওয়ান এবং রাহুল রায়। তবে মূল অভিযুক্ত দিনু যাদব পলাতক বলে দাবি পুলিশের। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় বুধবারই সানি রাউত নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য দিকে, কসবা থেকে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের নাম লব দাস ওরফে বরকা এবং চন্দন প্রসাদ ওরফে কালু। গোয়েন্দারা জানান, কসবায় বোমাবাজির সঙ্গে তারা যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। তাদের ওই ঘটনায় পরে হেফাজতে নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কসবার নস্করহাট সংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার রাতে প্রথম বোমাবাজি হয়। পরদিন রাতে মন্ত্রীর বাড়ির সামনেই বোমাবাজি করে অন্য দল। মূলত এলাকার দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে লড়াই স্থানীয় দুই দুষ্কৃতী দিনু যাদব ও মুন্না পাণ্ডের। পুলিশের একটি অংশের দাবি, দিনুর দলবল এলাকায় অস্তিত্ব বজায় রাখতে বোমাবাজি শুরু করে।
ভোটের আগে এই ঘটনা সহজ ভাবে দেখতে নারাজ লালবাজার। তাই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ কর্তারা। এর জেরেই এক রাতে ছ’জন দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এ দিন ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনার বোমাবাজির ঘটনা নিয়ে কথা বলেন তদন্তকারীদের সঙ্গে। বাকি অভিযুক্তদের যাতে গ্রেফতার করা হয়, সেই নির্দেশও দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy