এই দোকানই লুট করে দুষ্কৃতীরা।
গাড়ি করে এসে দোকানের শাটার ভেঙে কয়েক ডজন দামী বিদেশি মদের বোতল, সঙ্গে নগদ লাখ দু’য়েক টাকা নিয়ে চম্পট দিল চোরের দল। শুধু তাই নয়, পালানোর সময় পুলিশের মুখোমুখি পড়ে গিয়ে পাল্টা পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মেরে পালায় বেপরোয়া এই চোরেরা। সিসি ক্যামেরায় চোরেদের মুখ ঢাকা ছবি ধরা পড়লেও এখনও কাউকে পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ।
রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কসবার শান্তিপল্লিতে। বাইপাস থেকে কিছু দূরে শান্তিপল্লিতে রয়েছে একটি বড় বিলিতি মদের দোকান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু দোকান নয়, মদের পাইকারি কারবারও হয় ওখান থেকে। মধ্য কলকাতার একটি নামী বার এবং রেস্তরাঁর মালিক ওই মদের দোকানেরওমালিক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১টা নাগাদ একটি সাদা রঙের স্করপিও গাড়ি এসে দাঁড়ায় দোকানটির সামনে। দুই যুবক নেমে পেশাদারের মতোই খুব অল্প সময়ের মধ্যে দোকানের শাটার ভেঙে ফাঁক করে ভিতরের কোলাপসিবলের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দুই দুষ্কৃতী দোকানের ক্যাশ রাখার ড্রয়ার ভেঙে নগদ প্রায় দু’লাখ টাকা এবং সঙ্গে দামী বিদেশি মদের অনেকগুলি বোতল নিয়ে গাড়িতে তোলে।
ঘটনাচক্রে ঠিক ওই সময়েই দোকানের সামনে পৌঁছয় কসবা থানার টহলদারি ভ্যান। স্করপিওটিকেওই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেপুলিশকর্মীদের সন্দেহ হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ভ্যান থেকে পুলিশকর্মীরা নামতে গেলে স্করপিওটি ভ্যানের দরজায় এসে ধাক্কা মারে। ফের নামার চেষ্টা করলে আবার ধাক্কা মারে। গোটা ঘটনায় হকচকিয়ে যান ভ্যানে থাকা পুলিশকর্মীরা। সেই সুযোগেই দুষ্কৃতীরা গাড়ি ঘুরিয়ে বাইপাসের দিকে চম্পট দেয়।
ভ্যান থেকে পুলিশকর্মীরা নেমে দেখেন, দোকানের শাটার ভাঙা। কসবা থানার পক্ষ থেকেই খবর দেওয়া হয় দোকানের মালিক তমঞ্জন সাউকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দোকানের ভিতরে এবং বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরায় মোট তিনজন দুষ্কৃতীর ছবি ধরা পড়েছে। দু’জন দোকানে ঢুকেছিল। এক জন চালকের আসনে। তবে সবারই মুখ মাফলার জাতীয় কিছু দিয়ে ঢাকা। গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররাও ঘটনাস্থলে যান। এক অফিসার বলেন,‘‘কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই তদন্ত চলছে।”
কয়েক দিন আগেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা বিহারের মোতিহারির একটি গ্যাংকে পাকড়াও করে। আনন্দপুর থেকে পাকড়াও হওয়া গ্যাংটি গাড়ি ভাড়া করে বাইপাসের ধারে বিভিন্ন জায়গায় গয়নার দোকানে হানা দিত। তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, এ রকমই কোনও গ্যাং থাকতে পারে এই চুরির পিছনে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে গাড়ির নম্বর পাওয়া গেলেও এখনও সেই গাড়ির হদিশ করতে পারেনি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy