ছবি: সংগৃহীত
সেখানে নিরন্তর চলে বিদ্যাচর্চা ও গবেষণা। প্রতি বছর বিদ্যার দেবীর আরাধনার আয়োজন করেন ছাত্রছাত্রীরাই। পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেন কোনও ব্রাহ্মণ। সেই ধারা ভেঙে বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে (আইএসআই) সরস্বতী পুজো করলেন সংখ্যালঘু এক ছাত্র। তাঁর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করলেন প্রতিষ্ঠানেরই এক ছাত্রী এবং আর এক অব্রাহ্মণ ছাত্র।
আইএসআইয়ের তিনটি হস্টেলের মধ্যে ছেলেদের হস্টেলের টিভি রুমে এ দিন আয়োজন করা হয়েছিল পুজোর। এক পড়ুয়া জানালেন, এ বার সকলে মিলে প্রচলিত ধারা ভাঙতে চেয়েছিলেন। তাই ছাত্রছাত্রীরাই ঠিক করেন, পুজোর কাজ একসঙ্গে করবেন এক সংখ্যালঘু ছাত্র, এক ছাত্রী এবং এক অব্রাহ্মণ ছাত্র। রাশিবিজ্ঞান স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী অরিসিনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর আগে কোনও মেয়ে, অব্রাহ্মণ বা সংখ্যালঘু ছাত্র পুজো করেননি। মন্ত্রপাঠ কী ভাবে করতে হয়, গত কয়েক দিন ধরে তার অনুশীলন করেছি। এ দিন পুজোর যাবতীয় উপচার জোগাড় করা থেকে শুরু করে অন্য ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য পুষ্পাঞ্জলির আয়োজন করা— সবই করেছি আমরা তিন জন।’’ তবে তাঁর সঙ্গী দুই ছাত্র নাম প্রকাশ করতে চাননি বলে জানান অরিসিনা।
কেন ছক ভাঙার এই উদ্যোগ? ছাত্রছাত্রীরা জানাচ্ছেন, ধর্মের জিগির তুলে বিভাজনের যে প্রচেষ্টা বর্তমানে চলছে, তার প্রতিবাদ স্বরূপ তাঁদের এমন সিদ্ধান্ত। এর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধেও তাঁরা একযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy