হিংসা-অশান্তির জন্য বিজেপিকে একহাত নিলেন ফিরহাদ। ফাইল চিত্র।
ধর্ম নিয়ে অশান্তি ছড়ালে পুলিশ দমনমূলক পদক্ষেপ করবে। আইন আইনের পথে চলবে। বিজেপির নিলম্বিত (সাসপেন্ড) জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্যের পর রাজ্যের জায়গায় জায়গায় হিংসা এবং অশান্তি ছড়ানোর ঘটনায় এমনই মন্তব্য করলেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি, এই অশান্তির জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন তিনি।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ বলেন, ‘‘অন্যায় যারা করেছে, তাদের শাস্তি পেতেই হবে।’’ ধর্ম নিয়ে হিংসা এ রাজ্যে বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘আমরা সব ধরনের ধর্মীয় আবেগকে সম্মান করি। এটাই বাংলার কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি। কিন্তু বাংলার সংস্কৃতি যারা নষ্ট করতে চায়, তাদের পুলিশই দমন করবে।’’
নূপুরের মন্তব্যের প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়েছে সারা দেশে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এ রাজ্যের একাধিক জায়গায়। বিশেষত, হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার চেঙ্গাইলে রেল অবরোধের জেরে হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় দীর্ঘ ক্ষণ বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। যার জেরে বাড়ি ফেরার পথে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ চেঙ্গাইল স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। প্রায় সাত ঘণ্টা পর রেল অবরোধ ওঠে। এর জেরে পাঁচটি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়।
আবার, গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেরিয়া মনসাতলায় বিজেপি গ্রামীণ অফিস ভাঙচুর এবং আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। শনিবার পাঁচলায় অশান্তি ছড়ায়। পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধে আহত হন একাধিক।
হাওড়ার ঘটনায় কড়া বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, কোনও রকম হিংসাত্মক ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। অশান্তি ঠেকাতে ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে। সোমবার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy