Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪
Minakshi Mukherjee

পুলিশি ধরপাকড় শুরু হতেই পোশাক বদল করে জায়গা পাল্টে ফেললেন মিনাক্ষীরা, শহরে ‘সন্দেশখালি মডেল’

বৃহস্পতিবার রাজাবাজার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেন বাম ছাত্র-যুব-মহিলারা। তার পরে বুধবার রাতের ঘটনার বিভিন্ন ছবি দেখিয়ে মিনাক্ষীরা দাবি করেন, ভাঙচুরের ঘটনার নেপথ্যে ছিল তৃণমূলের লোকজন।

মিছিলে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং ধ্রুবজ্যোতি সাহা।

মিছিলে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং ধ্রুবজ্যোতি সাহা। —ফেসবুক।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৪ ২১:৩৪
Share: Save:

আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল সিপিএমের ছাত্র, যুব এবং মহিলা সংগঠন। কিন্তু শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে থেকে সেই মিছিল শুরুর আগেই আরম্ভ হয়ে যায় পুলিশি ধরপাকড়। সেই খবর পেয়ে পোশাক বদলে মিছিল শুরুর জায়গা বদল করে ফেলেন সিপিএমের যুবনেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং অন্যেরা।

বাম ছাত্র-যুবরা জানিয়েছিলেন, শিয়ালদহ থেকে মিছিল যাবে শ্যামবাজার পর্যন্ত। বামেদের অভিযোগ, জমায়েত শুরু হতেই তাদের শ’দুয়েক কর্মীকে পুলিশ আটক করে। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ যখন ওই কাণ্ড ঘটছে, তখনও বিআর সিংহ হাসপাতালের সামনে পৌঁছননি মিনাক্ষী এবং সিপিএমের যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। তাঁরা রাস্তায় ছিলেন। সেই সময়েই তাঁদের কাছে ধরপাকড়ের খবর পৌঁছয়। তার পরই ‘বিকল্প পন্থা’ নেন মিনাক্ষীরা।

সূত্রের খবর, মিনাক্ষীরা মাঝরাস্তা থেকে ফিরে যান সংগঠনের রাজ্য দফতর দীনেশ মজুমদার ভবনে। সেখানে গিয়ে পোশাক বদলান। শাড়ি পরে নেন মিনাক্ষী। শার্টের সঙ্গে লুঙ্গি পরেন ধ্রুব। তার পরে ওই পোশাকে তাঁরা পৌঁছে যান রাজাবাজারে। বাকিদের খবর দেওয়া হয় শিয়ালদহ থেকে রাজাবাজারে পৌঁছে যেতে। শেষমেশ সেখান থেকেই শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেন বাম ছাত্র-যুব-মহিলারা। উল্লেখ্য, সন্দেশখালি পর্বেও পুলিশের চোখে ধুলো দিতে শাড়ি পরে, মাথায় হিজাব টেনে গ্রামে পৌঁছেছিলেন মিনাক্ষীরা। সেই মডেলেই কলকাতায় ছদ্মবেশ ধরলেন সিপিএমের যুবনেত্রী। শ্যামবাজারে মিছিল শেষে বুধবার রাতের ঘটনার বিভিন্ন ছবি দেখিয়ে মিনাক্ষীরা দাবি করেন, ভাঙচুরের ঘটনার নেপথ্যে ছিল তৃণমূলের লোকজন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে বেরিয়ে দাবি করেছেন, যাঁরা কাল ব্যারিকেড ভেঙেছিলেন, তাঁদের হাতে ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা ছিল। পাল্টা সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘যারা ভাঙচুর করেছে, তারা সবাই তৃণমূলের লোক। সবাই তৃণমূলের কোনও কোনও নেতার হয়ে টাকা তোলা, ভাড়াটে মস্তানের কাজ করে।’’ সেলিমের আরও দাবি, নিরাপত্তা আলগা করে পুলিশই তাণ্ডব চালাতে দিতে সাহায্য করেছিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE