রবীন্দ্র সদন স্টেশনে নেমে আসছেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র।
আবার মেট্রোয় মরণঝাঁপ। আর তার জেরে পাতালরেল পরিষেবায় বিভ্রাট। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনায় ভোগান্তির শিকার হলেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে রবীন্দ্র সদন স্টেশনে দমদমমুখী একটি মেট্রো ঢোকার সময়ে আপ লাইনে ঝাঁপ দেন এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে থামিয়ে দেওয়া হয় মেট্রো। আপৎকালীন দরজা খুলে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়।
ঘোষণা হয়ে যাওয়ার বেশ কিছু সময় পর আপৎকালীন দরজা খোলে। যাত্রীদের নামিয়ে মেট্রো খালি করে দেওয়া হয়। কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) পর্যন্ত এবং সেন্ট্রাল থেকে দক্ষিণেশ্বর স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সচল রাখা হয়েছিল। রবীন্দ্র সরোবর থেকে চাঁদনি চক পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। আপ এবং ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে অন্তত ৪টি মেট্রো। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, পাওয়ার ব্লক অর্থাৎ বৈদ্যুতিন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রবীন্দ্র সদন স্টেশনের ওই অংশে কাজ চলে। তবে ঝাঁপ দেওয়া জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। মেট্রোর তরফে শুধু জানানো হয়েছে, ঝাঁপ দেওয়া ব্যক্তির বয়স ৩০।
মেট্রো না পেয়ে অনেকেই বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বাস-গাড়িতে ওঠেন অনেক যাত্রী। কোনও কোনও যাত্রীর বক্তব্য, মেট্রো স্টেশনে গিয়েও দেখা যায় আপৎকালীন গেট বন্ধ। চাঁদনি চকের মতো স্টেশনে যাঁরা স্টেশনের ভিতরে ছিলেন, তাঁদের পরিষেবা বন্ধের কথা জানিয়ে অন্য গেট দিয়ে বার করে আনা হয়। সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে প্রায় এক ঘণ্টা পরে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করার ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। একাধিক বার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আর ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের। কেন এই ধরনের ঘটনা রুখতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করতে পারছেন না, স্টেশনগুলিতে নজরদারি সত্ত্বেও এর পুনরাবৃত্তি কেন ঘটছে, সেই সব নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীদের কেউ কেউ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy