—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পর পর দু’দিন সকালে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত অংশে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর চলাচল ব্যাহত হল। সিগন্যালিং বিপত্তিতে মঙ্গলবার সকাল ৭টায় নির্ধারিত সময়ে পরিষেবা শুরু করা যায়নি। পরে বিপত্তি সামলে পরিষেবা শুরু করতে প্রায় সওয়া ৮টা বেজে যায়। মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই ১ ঘণ্টারও বেশি যাত্রীরা ওই মেট্রোরায় উঠতে পারেননি।
ওই ঘটনার পরে ফের বুধবার সকালে সেন্ট্রাল পার্ক স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থায় বিপত্তি দেখা দেয়। এ দিন নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২ ঘণ্টা পরে পরিষেবা শুরু হয়। সকাল ৯টা পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ থাকায় মেট্রোর নিত্যযাত্রীদের অনেকেই বিপাকে পড়েন। বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে পৌঁছতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ। সিগন্যালিং সংক্রান্ত বিপত্তি সামলাতে গিয়ে ওই মেট্রোপথের সেন্ট্রাল পার্ক স্টেশনে এক মেট্রোকর্মী আহত হন। মেট্রোর থার্ড রেল পরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি আহত হন বলে সূত্রের খবর। পরে তাঁকে শিয়ালদহে বি আর সিংহ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
এ দিনও সিগন্যালিং বিপত্তিতে যে ভাবে টানা দু’ঘণ্টা সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ ছিল, তাতে কর্তৃপক্ষের বিঘ্ন সামলানোর ক্ষেত্রে তৎপরতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রো হওয়া সত্ত্বেও বিপত্তির পরিস্থিতিতে কেন ওই পথের অন্তত একাংশে পরিষেবা চালু রাখা গেল না, উঠছে সেই প্রশ্নও। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় কোনও স্টেশনে বিপত্তি দেখা দিলে সেই অংশ বাদ রেখে বাকি অংশে পরিষেবা দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, এ দিন রাত ৯টা ১৩ মিনিট নাগাদ উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর কালীঘাট স্টেশনের ডাউন লাইনে মেট্রোর সামনে পড়ে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ঘণ্টাখানেক ব্যাহত হয় মেট্রো চলাচল। ওই ব্যক্তি ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের অনুমান। রাত ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ ডাউন লাইনে ফের পরিষেবা চালু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy