বিজ্ঞানীর কাছে ক্ষমা চাইল মেট্রো। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা মেট্রোয় ‘টাইম ট্রাভেল’ বিতর্কে ইতি পড়ল অবশেষে। মেট্রোয় টোকেন বিভ্রাট নিয়ে গত শনিবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী। সেই বিভ্রাটের ব্যাখা করতে তিনি ‘টাইম ট্রাভেল’-এর তুলনা তুলে ধরেছিলেন। লিখিত ভাবে সে কথা জানিয়েওছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। তা জানতে পেরে বিড়ম্বনায় পড়ে মেট্রো। তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে বুধবার এক পদস্থকর্তা সন্দীপবাবুর সঙ্গে দেখা করে এ জন্য ক্ষমা চেয়ে তাঁর দেওয়া জরিমানার টাকা ফিরিয়ে দেন।
গত শনিবার মেট্রো করে বাড়ি ফিরছিলেন কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স’ (আইসিএসপি)-এর অধিকর্তা সন্দীপ চক্রবর্তী। রবীন্দ্রসদন স্টেশন থেকে কবি সুভাষের জন্য সন্ধ্যা ৫.৫৯ মিনিটে টোকেন কাটেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর সঙ্গে অবশ্য মান্থলি কার্ড ছিল। দু’জনে সন্ধ্যা ৬টা বেজে ১ মিনিটে ট্রেনে ওঠেন। সন্দীপবাবুর দাবি, ৬.২৪ মিনিটে ট্রেন পৌঁছয় শহিদ ক্ষুদিরাম স্ট্রেশনে। তাঁর স্ত্রী কার্ড পাঞ্চ করে স্টেশন থেকে বেরিয়ে গেলেও, সন্দীপবাবুর টোকেনে গেট খুলছিল না। তখন মেট্রো কর্মীরা চলে আসেন। তাঁরা জানান, সন্দীপবাবু বেলগাছিয়ার টিকিট কেটে ঢুকেছিলেন, ফলে এ ভাবে বেরোতে পারবেন না। তাঁকে জরিমানা দিতে হবে।
এর পরেই বিতর্কের শুরু। তাঁকে স্টেশন মাস্টার বলেন, “সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে ওই টিকিট কাটা হয়েছে। এ কথা শুনে সন্দীপবাবু তাঁকে জানান, আমি ৬টা ৫৮ মিনিটে কী করে টিকিট কাটব? এখন তো ৬টা ৪৮ বাজে। আমি ৬ নাগাদ মেট্রোতে উঠেছিলাম। এখানে ৬টা ২৪ মিনিটে নেমেছি। আপনি সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখুন। ভুল হচ্ছে।
মেট্রো রেলের সিনিয়র ট্রান্সপোর্টেশন ম্যানেজার কৌশিক মিত্র জরিমানার টাকা তুলে দিচ্ছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তীর হাতে। —নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: চোরাই মালের তালিকা দিয়ে কিনে আনতে বলেছিল সিঁথি থানা! তদন্তে নতুন মোড়
আরও পড়ুন: ঘৃণ্য অপরাধীও সব আইনি বিকল্প পাবে, নির্ভয়া কাণ্ডে বলল আদালত
তাঁর কথা না শুনে সন্দীপবাবুকে ২৫৫ টাকা জরিমানা করা হয়। এ বিষয়ে তিনি টাইম ট্রাভেলের বিষয়টি উল্লেখ করে, সবিস্তার জানিয়ে সন্দীপবাবু কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দেন। এ দিন মেট্রো রেলের সিনিয়র ট্রান্সপোর্টেশন ম্যানেজার কৌশিক মিত্র বলেন, “একটা ভুল হয়েছে। ঠিক কী হয়েছে আমরা খতিয়ে দেখছি। ওঁর সঙ্গে কথা বলে মেট্রোর তরফে আমরা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। ওঁকে টাকাও ফেরত দেওয়া হয়েছে।”
জরিমানার টাকা ফেরত পেয়ে সন্দীপবাবু বলছেন, “লিখিত ভাবে ক্ষমা চাওয়া হয়নি। আমার সঙ্গে দেখা করে এক মেট্রো কর্মী মৌখিক ভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। ফেরত দিয়েছেন জরিমানা দেওয়া টাকাও। এই খবরটি সামনে আসার পর সোশাল মিডিয়ায় বহু মানুষ এমন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন দেখলাম।’’ যদিও এ বিষয়ে কৌশিকবাবু বলেন, ‘‘মেট্রোর নিয়ম অনুযায়ী স্পিড পোস্টে সন্দীপবাবুর কাছে মেট্রোর লিখিত বক্তব্য পাঠানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy