Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Water Meter

কলকাতার আরও কিছু এলাকায় বসবে জলের মিটার, ঘোষণা মেয়রের

বছর ছয়েক আগে এক নম্বর বরোর এক থেকে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত বাড়িতে মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। কাশীপুর, টালা, সিঁথি, বেলগাছিয়া, নর্দার্ন অ্যাভিনিউ এলাকায় সেই কাজ শেষ হয়েছে।

Mayor Firhad Hakim said more water meters will be installed in different areas of Kolkata to restrict excessive wastage of water

জলের অপচয় ঠেকাতে পাইলট প্রকল্প হিসাবে মিটার বসানো চলছে। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৩ ০৫:২১
Share: Save:

কলকাতা পুরসভা যে পরিমাণ পরিস্রুত পানীয় জল প্রতিদিন উৎপাদন করে, তাতে শহরের প্রত্যেক বাসিন্দার সেই জল পাওয়ার কথা। তা সত্ত্বেও কোথাও কোথাও পানীয় জলের অভাব থেকে যাচ্ছে। সেই কারণে পানীয় জলের অপচয় চিহ্নিত করতে মিটার বসানোর কাজ আগেই শুরু করেছিল পুরসভা। এ বার সেই মিটার শহরের আরও কিছু এলাকায় বসানো হবে। শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘পুরসভা প্রতিদিন ৫১৫ মিলিয়ন গ্যালন পানীয় জল উৎপাদন করে। অবিলম্বে আরও ৪০ মিলিয়ন গ্যালন জল উৎপাদন করা হবে। যে পরিমাণ জল উৎপাদন হচ্ছে, তাতে প্রত্যেক নাগরিকের তা পাওয়ার কথা। কিন্তু, তা সত্ত্বেও সমস্যা রয়ে যাচ্ছে। তার মানে, কোথাও জলের অপচয় হচ্ছে। তা চিহ্নিত করতেই মিটার বসানো হচ্ছে।’’

বছর ছয়েক আগে এক নম্বর বরোর এক থেকে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত বাড়িতে মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। কাশীপুর, টালা, সিঁথি, বেলগাছিয়া, নর্দার্ন অ্যাভিনিউ এলাকায় সেই কাজ শেষ হয়েছে। এ বার দক্ষিণ কলকাতা,পূর্ব কলকাতা ও জোকায় কাজ শুরু হবে। মেয়র জানান, জলের অপচয় ঠেকাতে পাইলট প্রকল্প হিসাবে মিটার বসানো চলছে। এ বার যাদবপুর, বাঘা যতীন, মুকুন্দপুর, পাটুলি, কসবা, মাদুরদহ, নয়াবাদ, গরফা ছাড়াও জোকার তিনটি ওয়ার্ডে জলের মিটার বসানোর কাজ শুরু হবে। তবে, মিটার বসানোর সঙ্গে জলের কর সংগ্রহের সম্পর্ক নেই। মেয়র বলেন, ‘‘জলকর আমরা নেব না। আমরা গরিব মানুষের সঙ্গে আছি।’’

পুরসভা সূত্রের খবর, বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলিতেও মিটার বসছে। এর ফলে কোন এলাকায় কতটা জল সরবরাহ হচ্ছে, পাইপলাইনে ফুটো হয়ে কোথাও জল পড়ে যাচ্ছে কি না, তা চিহ্নিত করা যাবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Water Meter Water crisis Kolkata Firhad Hakim
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE