Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Bengali Classical Language

সরকারি বেসরকারি অফিস, শহরের সব দোকানে বাংলা ভাষার ব্যবহারের জন্য শীঘ্রই নির্দেশিকা জারি করবে কলকাতা পুরসভা

ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। কলকাতা পুরসভার অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছিল যে, শহরের বিভিন্ন দোকান এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার কী ভাবে বাড়ানো যায়?

Mayor Firhad Hakim said KMC will soon issue guidelines for the use of Bengali language in all shops, government and private offices in the city

—ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৪৭
Share: Save:

ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। সম্প্রতি এই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার পরেই কলকাতা পুরসভার অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছিল যে, শহরের বিভিন্ন দোকান এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার কী ভাবে বাড়ানো যায়? সেই আলোচনার রেশ ধরেই কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রস্তাব রাখলেন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে।

তৃণমূল কাউন্সিলর তা৬র প্রস্তাবে বলেন, ‘‘সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলা ভাষাকে। কলকাতা পুরসভার অধীনে সরকারি, বেসরকারি স্তরে যত রকমের সাইবোর্ড আছে তা বাংলায় হওয়া উচিত। এ ছাড়াও কলকাতা পুরসভার নথি সহ সমস্ত রকমের চিঠিপত্র ও বিজ্ঞপ্তি বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা প্রয়োজন। বাংলা ভাষার এই স্বীকৃতিকে জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করার জন্য কলকাতা পুরসভাকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।’’ জবাবে মেয়র বলেন, ‘‘বিশ্বরূপের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য। আমরা শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করব। আমরাও চাই, শহরের সব অফিস, দোকানপাটের নাম বাংলায় লেখা হোক। আগামী দিনে আমাদের চেষ্টা থাকবে যে, বেশি পরিমাণে কাজের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানো।’’

কলকাতা পুরসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, মেয়র থাকাকালীন আগেও ফিরহাদ কলকাতা শহরের দোকান তথা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে বাংলা ভাষায় নাম লেখার কথা বলেছিলেন। সে সময় তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘রাজ্যের বেশির ভাগ মানুষ বাংলা বোঝেন। বেশির ভাগের মাতৃভাষা বাংলা। তাই বাংলায় লিখলে সকলের বুঝতে সুবিধা হবে এবং এ জন্য সকলে গর্ব অনুভব করতে পারবেন।’’ কিন্তু সে বার মেয়রের এই প্রয়াস সফল না হলেও, বাংলা ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ার পরেই এই ভাবনা ইন্ধন পেতে শুরু করে পুরসভার অন্দরে। আর পুর অধিবেশনে বিষয়টি আলোচনা হওয়ায়, তা প্রশাসনিক ভাবে লিপিবদ্ধ হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও বামফ্রন্ট জমানাতেও এই ধরনের উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। যে কারণে কলকাতা শহরের একাংশে বাংলায় দোকান এবং অফিসের নাম লেখা শুরু হয়েছিল। পরে যদিও, সেই উদ্যোগ খুব বেশি গতি পায়নি বলেই জানা যায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy