Advertisement
E-Paper

Kolkata: আবাসন শিল্পে বিপুল সম্ভাবনা কলকাতার, বণিকসভার আলোচনায় ফিরহাদ-সহ বিশিষ্টেরা

করোনা অতিমারির পরবর্তীতে প্রতিটি ক্ষেত্রই একই রকম ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। বাদ যায়নি আবাসন শিল্পও। তবে আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা।

বণিকসভার অনুষ্ঠানে ফিরহাদ-সহ বিশিষ্টরা।

বণিকসভার অনুষ্ঠানে ফিরহাদ-সহ বিশিষ্টরা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২২ ২০:১২
Share
Save

আবাসন শিল্পে অন্যদের পথ দেখাতে পারে কলকাতা। করোনা পরবর্তী সময়ে শহরের আবাসন শিল্পক্ষেত্রের পরিস্থিতি এবং সম্ভাবনা নিয়ে বণিকসভা ‘সিআইআই’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।

কলকাতার আবাসন শিল্প এবং তার ভবিষ্যৎ নিয়ে শিল্পোদ্যোগী, বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের প্রতিনিধিদের নিয়ে ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, ‘স্ট্যাম্প ডিউটি’তে ২ শতাংশ ছাড় এবং জমি সম্পত্তির সার্কেল রেটে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। আবাসন শিল্পের সুবিধার্থে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার এবং কলকাতা পুরসভা। মন্ত্রীর দাবি, করোনা পরবর্তী সময়ে কলকাতার আবাসন শিল্প আরও ভাল জায়গায় পৌঁছেছে।

ফিরহাদ এ-ও জানান, ২০১১ সালের পর এ পর্যন্ত ৫০৫টি নতুন এমএসএমই (ক্ষুদ্র-ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ) ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা কলকাতার সিলিকন ভ্যালিতে ৫১ একর জমিতে একটি হাইপারস্কেল ডেটা সেন্টার তৈরির কথা ঘোষণা করেছে। এতে আগামী পাঁচ বছরে পাঁচ লক্ষ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ওই আলোচনা সভার সভাপতিত্বে ছিলেন মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা। শিল্প বিশেষজ্ঞ, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি এবং আবাসন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্টদের নিয়ে এই আলোচনা সভার লক্ষ্য আবাসন শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করা। সেখানে ফিরহাদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হিডকোর চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সেন, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

দেবাশিস রাজ্যের সম্পদ কাজে লাগানোর জন্য তাঁর পরিকল্পনার কথা বলেন। উদাহরণ হিসেবে নিউটাউনের ফিনটেক হাবের কথা তুলে ধরেন তিনি। সেখানকার প্রস্তাবিত আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস এবং হালকা রেল ট্রানজিটের ধারণা বিশদে বর্ণনা করেন। এর পাশাপাশি আলিপুর এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন দেবাশিস। অন্য দিকে, জমি কেনা কিংবা জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা এবং তার সুরাহার কথা বলেন আলাপন। তিনি জানান, জমি কেনা, অধিগ্রহণ ইত্যাদি স্বচ্ছ এবং আইনমাফিক হতে হবে।

করোনা অতিমারির পরবর্তীতে প্রতিটি ক্ষেত্রই এক রকম ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। আবাসন শিল্পও প্রভাবিত হয়েছে। তবে আস্তে আস্তে সেই বাধা অতিক্রম এগিয়ে চলছেন তাঁরা। অন্য দিকে, কলকাতায় ব্যবসা করার সুবিধা এবং আবাসন শিল্পের জন্য যে ‘ইকোসিস্টেম’ তৈরি হয়েছে, সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন শ্রীরাম প্রোপার্টিসের সিএমডি এন মুরলি এবং ইন্ডোস্পেস ক্যাপিটালের ধীরাজ অগ্রবাল। তাঁদের মতে, কলকাতার ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধার আবাসন শিল্পে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। যদি শহুরে জমির ‘সিলিং অ্যাক্ট’ এবং ‘ডবল রেজিস্ট্রেশন’-এর মতো কয়েকটি সমস্যার সমাধান করা যায়, তবে এই শহরই আবাসন শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যদের রাস্তা দেখাতে পারে।

Firhad Hakim CII Real Estate

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।