আবার অগ্নিকাণ্ড কলকাতায়। এ বার ঘটনাস্থল তারাতলা থানা এলাকায়। সোমবার রাতে তারাতলার কেপিটি কলোনির ঝুপড়িতে আগুন লাগে। স্থানীয়েরা আগুন নেবানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। এখনও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অগ্নিকাণ্ড যেখানে হয়েছে, সেই কলকাতা বন্দর এলাকার ৮০ নম্বর ওয়ার্ডটি ফিরহাদেরই বিধানসভা এলাকা।
গত শনিবার রাতে নারকেলডাঙায় ভস্মীভূত হয়েছে বস্তি এলাকার অন্তত ৪০টি ঝুপড়ি। সেই রেশ কাটতে না কাটতে আবার একটি অগ্নিকাণ্ড হল শহরে। স্থানীয় সূত্রের খবর, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা লাগে ঝুপড়িতে। নিমেষে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় বিস্তীর্ণ এলাকা।
আরও পড়ুন:
তারাতলার কেপিটি কলোনির কোয়ার্টারের পাশে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি ঝুপড়ি রয়েছে। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, সন্ধ্যায় হঠাৎ করে আগুন দেখতে পান ঝুপড়িতে। দমকলে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু,দমকলবাহিনী পৌঁছনোর আগে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বস্তি। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। দমকলের দীর্ঘ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনও ‘পকেট ফায়ার’ রয়েছে। অন্য দিকে, আগুন লাগার ঘটনা শোনামাত্র ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ। তিনি জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তের পাশে প্রশাসন রয়েছে। সকলে সমস্ত রকমের সাহায্য পাবেন।
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিবেছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, রান্নার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে এই অগ্নিকাণ্ড। ৪০টি ঝুপড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ফিরহাদ আশ্বাস দিয়েছেন, সকলেই ক্ষতিপূরণ পাবেন। অন্য দিকে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার।