লেলিহান: আগুনে ভস্মীভূত প্লাস্টিক কারখানা। সোমবার, কাশীপুরে। ছবি: সুমন বল্লভ
একটি প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়াল কাশীপুর এলাকায়। সোমবার দুপুরে, কাশীপুরের ৬ নম্বর নবাবপট্টির একটি কারখানায় আগুন লাগার পরে দমকলের ১৭টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই কারখানার এক কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন। তবে আর কোনও হতাহতের খবর নেই।
তবে এই অগ্নিকাণ্ডকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। পুলিশ সূত্রের খবর, চিৎপুর থানার কাছে ওই রাস্তায় একটি দোতলা বাড়ির ছাদে ছিল ওই প্লাস্টিক কারখানাটি। সেখানেই এ দিন আগুন লাগে। প্লাস্টিক-সহ বহু দাহ্য পদার্থ ওই কারখানায় মজুত থাকায় সহজেই আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ১৭টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, আগুনের তাপে ওই বাড়ির পাঁচিলের একাংশ এক সময়ে ধসে যায়। স্থানীয় সূত্রের দাবি, বেলা ১২টা নাগাদ হঠাৎই ওই বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। তার পরেই আগুন দেখা যায়। সে সময়ে কয়েক জন কর্মী কাজ করছিলেন ওই কারখানায়। তার মধ্যে এক মহিলা কর্মী আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারাই দ্রুত উদ্ধারকাজে হাত লাগান। আশপাশের বাড়ির বাসিন্দাদেরও বার করে আনা হয়। এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় এবং কারখানাটির পাশেই একটি বস্তি এলাকা থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ দিন কারখানার আগুন নেভাতে গিয়ে প্রথমে খানিকটা বেগ পেতে হয়েছিল দমকলকর্মীদের। আগুনের তাপে এক সময়ে কারখানার টিনের শেড ভেঙে পড়ে। তার নীচে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতেও বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। সেই সঙ্গে গঙ্গার হাওয়ায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। তবে টানা পাঁচ ঘণ্টা পরে বিকেল ৫টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা।
এ দিকে, আগুন লাগার পরে ঘটনাস্থলে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাউকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, কারখানার মালিকের লোকজন পালিয়ে গিয়েছেন। কমলেশ মিশ্র নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, ‘‘কী ভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হোক।’’ আর এক বাসিন্দা দেবাশিস মণ্ডল জানান, কয়েক বছর আগেও ওই কারখানায় আগুন লেগেছিল। যে ভাবে এ দিন সেখানে আগুন লেগেছে, তাতে কারখানার দেওয়াল ভাঙলে পাশের বস্তি এলাকার কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত। অভিযোগ, রবিবার রাতেও অনেক জিনিসপত্র মজুত করা হয়েছিল ওই কারখানায়। কিন্তু আগুন লাগার পরে আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। সেখানে কোনও অগ্নি-সুরক্ষার ব্যবস্থা ছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর সুমন সিংহ জানান, এ দিন আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত দমকলমন্ত্রীকে জানানো হয়। তার পরেই দ্রুত দমকল এসে হাজির হয়েছিল। না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে কারখানায় আগুন কী ভাবে লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, ওই কারখানায় কী ভাবে আগুন লাগল এবং সেখানে কোনও অগ্নি-সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy