হিন্দুস্থান পার্ক সর্বজনীনের মূর্তি। ছবি: সুমন বল্লভ
সংক্রমণ রুখতে রাতের কড়াকড়ি পঞ্চমী থেকে শিথিল করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে তৃতীয়ার রাত থেকেই বিধি উড়িয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। কোথাও ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভাঙার উপক্রম, কোথাও রাতের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাওয়া পুজোকর্তা এবং পুলিশকে আলো নেভানোর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। যদিও সাধারণ মানুষের অসচেতনতা, না কি পুলিশ-প্রশাসনের কড়াকড়ির অভাব— কী কারণে এই পরিস্থিতি, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শুক্রবার, তৃতীয়ার রাতে সব চেয়ে বেশি ভিড় ছিল গড়িয়াহাট চত্বরের মণ্ডপগুলিতে। রাত ১২টাতেও একডালিয়া এভারগ্রিনে ভিড় উপচে পড়েছে। পিছিয়ে ছিল না বালিগঞ্জ কারচারাল বা সমাজসেবী সঙ্ঘের মণ্ডপও। দেশপ্রিয় পার্কের পুজোকর্তা সুদীপ্ত কুমারের দাবি, ‘‘এত রাতেও যে এই ভিড় হতে পারে, ধারণা ছিল না।’’ হিন্দুস্থান পার্কের পুজোকর্তা সুতপা দাস বললেন, ‘‘শুক্রবার রাত ১১টা-সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রচুর ভিড় ছিল। পরে কিছুটা হাল্কা হয়। বিধি মেনে কাউকেই মণ্ডপে ঢুকতে দিচ্ছি না।’’
পুজোর মুখে নৈশ কার্ফু তুলে দেওয়া নিয়ে চিন্তায় ছিল পুলিশও। কলকাতা হাই কোর্ট মণ্ডপ দর্শকশূন্য রাখতে এবং মণ্ডপের অদূরে ‘নো এন্ট্রি জ়োন’ বোর্ড টাঙাতে বললেও রাতের কার্ফু তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পথে ভিড় হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, মহালয়ার পর থেকেই আশঙ্কা সত্যি হচ্ছে।
কী বলছেন সাধারণ মানুষ? রাতে পথে বেরোনো এক দর্শনার্থীর কথায়, ‘‘সব বিধিনিষেধ পঞ্চমী থেকে জারি হবে। তার আগে সারা রাত ধরে সব মণ্ডপ ঘুরে ফেলব।’’ চেতলা অগ্রণীর সামনে এক দর্শনার্থী আবার বলছেন, ‘‘পরে আবার কী নির্দেশ দেবে, তার আগেই সেরে ফেলতে হবে।’’ টালা প্রত্যয়ের পুজোকর্তা মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বললেন, ‘‘তৃতীয়ায় রাত সাড়ে ৩টেতেও লোক এসেছে। আজ হয়তো রাত গড়িয়েও ভিড় থামবে না।’’
যদিও লালবাজারের এক পুলিশকর্তার দাবি, ‘‘সারা রাতই রাস্তায় পুলিশি নজরদারি ছিল। সাধারণ মানুষকে আইন মানতে সচেতন করা হয়েছে। বিধি মানতে রাতভর কড়া অবস্থানও নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy