প্রতীকী ছবি।
পুজোর উন্মাদনার কারণে যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়, তা নিয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করতে উদ্যোগী শহরের বেশ কিছু স্কুল। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছেন সেই সব স্কুল কর্তৃপক্ষ। যেমন, ঠাকুর দেখতে গিয়ে পড়ুয়ারা যাতে চারপাশের পরিবেশ নোংরা না করে সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে অনুরোধ করেছেন এপিজে, সল্টলেকের অধ্যক্ষা রীতা চট্টোপাধ্যায়।
ডিপিএস মেগাসিটিও এ ব্যাপারে সক্রিয়। অধ্যক্ষা ইন্দ্রাণী সান্যাল জানালেন, প্রতি বছর পুজোর ছুটির আগে তাঁদের স্কুলে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়। অংশ নেন পড়ুয়া-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। এ বছর মহাত্মা গাঁধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী স্মরণে তাঁর আদর্শে পরিচ্ছন্ন পরিবেশের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। পুজো মণ্ডপ সাজানো হয়েছে মূলত কাগজ ও থার্মোকল দিয়ে। প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হয়নি। কাপড়ের ছাতা আর পাথরের উপরে ছবি এঁকে করা হয়েছে অলঙ্করণ।
রামমোহন মিশন স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস জানালেন, পুজোর ছুটির আগে তাঁরা প্রতি বার ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পুজোয় তাদের কী খাওয়া উচিত, কী খাওয়া উচিত নয়— এ সব বোঝানোর পাশাপাশি পড়ুয়ারা যাতে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে, সে কথা বলা হয়েছে। বোঝানো হয়েছে কালীপুজোয় আতসবাজি পোড়ালে দূষণের প্রভাবের কথাও। সুজয়বাবু জানালেন, তাঁদের স্কুলের কাছেই রবীন্দ্র সরোবর। ছটপুজোয় সেখানে বারবার দূষণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পড়ুয়ারা যাতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসে, তা-ও বলা হয়েছে স্কুলের তরফে।
হেরিটেজ স্কুলের অধ্যক্ষা সীমা সপ্রু জানান, তাঁদের স্কুলে ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় না। পড়ুয়াদের এ বিষয়ে সচেতন করা হয় বারবার। স্কুলের বাইরেও তারা যাতে পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দেয়, সে বিষয়েও তাদের বলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy