পড়ুয়াদের হাম ও রুবেলার প্রতিষেধক দিতে শহরের প্রতিটি স্কুলে পৌঁছে যাচ্ছেন পুরসভার কর্মী এবং আধিকারিকেরা। ফাইল ছবি।
স্কুলে ঢুকে হাম ও রুবেলার প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি প্রকাশ করেছেন শহরের বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত ৯ জানুয়ারি থেকে সারা রাজ্যে শুরু হয়েছে এই প্রতিষেধক প্রদান কর্মসূচি। পড়ুয়াদের ওই প্রতিষেধক দিতে শহরের প্রতিটি স্কুলে পৌঁছে যাচ্ছেন পুরসভার কর্মী এবং আধিকারিকেরা। কিন্তু অভিযোগ, বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের একাংশের আপত্তির কারণেই কর্মসূচিতে রাজ্যের মধ্যে সব চেয়ে পিছনে কলকাতা। এমনটাই দাবি পুরসভার। স্কুলগুলির সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে সোমবার চিঠি লিখেছেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার।
পুরসভার দাবি, শহরের সরকারি স্কুলগুলি প্রতিষেধক প্রদান কর্মসূচি নিয়ে আগ্রহী। কিন্তু বেসরকারি স্কুলগুলিরএকাংশ তেমনটা নয়। পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ মঙ্গলবার জানান, যেখানে শহরের সরকারি স্কুলগুলিতে ২০ শতাংশপ্রতিষেধক হয়েছে, সেখানে বেসরকারি স্কুলে হয়েছে দুই শতাংশ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কলকাতার প্রায় ৯৮টি বেসরকারি স্কুল সহযোগিতা করছে না। পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং কর্মীদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।উপরন্তু, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদেরও ফেরত পাঠানো হচ্ছে। রাজ্য শিক্ষা দফতরে ও স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে বিষয়টি।’’
ন’মাসের শিশু থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত পড়ুয়াদের এই প্রতিষেধক প্রদান কর্মসূচিচলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই প্রতিষেধক প্রদানে রাজ্যে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর (৮৬ শতাংশ)। সবার পিছনে কলকাতা (২৬ শতাংশ)। পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতায় এই হার এতকম কেন, সম্প্রতি তা পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ কর্তা। এর পরেই পুর কমিশনার পুর স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তখনই অসহযোগিতার বিষয়টি সামনে আসে। পুর কমিশনারের নির্দেশেপুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের তরফে বেসরকারি স্কুলগুলির অধ্যক্ষদের চিঠিও দেওয়া হয়েছে। পুর স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ১১ লক্ষ ৫৩২ জন শিশু ও কিশোরকে হাম এবং রুবেলার প্রতিষেধক দেওয়ার কথা। অথচ, সোমবার পর্যন্ত প্রতিষেধকপেয়েছে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার জন। বাকি ১০ দিনে কী ভাবে প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার প্রতিষেধক দেওয়া যাবে,তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy