Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
New Town

নিউ টাউনে বাতিস্তম্ভের খোলা দরজা, প্রশ্নে সুরক্ষা

এ দিন নিউ টাউনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক জায়গাতেই বাতিস্তম্ভ থেকে তার ঝুলছে। তবে সেগুলিতে টেপের মোড়কও চোখে পড়ে।

নজরে নেই: নিউ টাউনের মঙ্গলদীপ আইল্যান্ডের কাছে বাতিস্তম্ভ থেকে বেরিয়ে রয়েছে বিদ্যুতের খোলা তার। রবিবার।

নজরে নেই: নিউ টাউনের মঙ্গলদীপ আইল্যান্ডের কাছে বাতিস্তম্ভ থেকে বেরিয়ে রয়েছে বিদ্যুতের খোলা তার। রবিবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৫৩
Share: Save:

রাস্তার ধার ঘেঁষে রয়েছে ত্রিফলা বাতি। বাতিস্তম্ভের মধ্যে খোলা জায়গা দিয়ে দেখা যাচ্ছে তার। কোথাও তার ঝুলছে বাইরেও। সম্প্রতি জলবন্দি কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার পরে নিউ টাউনে এই ছবি দেখা গিয়েছে রবিবার। ওই তার থেকে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা।

এ দিন দুপুরে নিউ টাউনের বাসিন্দাদের ফেসবুক পেজে এক অধ্যাপক কিছু ছবি পোস্ট করেন। ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, কোল ইন্ডিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে ত্রিফলার বিভিন্ন স্তম্ভে থাকা ছোট দরজা খোলা। ভিতর দিয়ে গিয়েছে তার। পোস্টটি প্রকাশ্যে আসার পরেই খোলা ওই সব বাতিস্তম্ভের দিকে এনকেডিএ কিংবা হিডকোর নজর পড়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এ দিন নিউ টাউনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক জায়গাতেই বাতিস্তম্ভ থেকে তার ঝুলছে। তবে সেগুলিতে টেপের মোড়কও চোখে পড়ে। তবে সেই মোড়ক কতটা পোক্ত, জোরে হাওয়া দিলে কোনও ভাবে তা খুলে গিয়ে বিপজ্জনক হতে পারে কি না, প্রশ্ন উঠছে সে সব নিয়েও।

নিউ টাউনের বাসিন্দা তথা অধ্যাপক শুভ্রাংশুশেখর মান্না তাঁর করা পোস্টটি সম্পর্কে বলেন, ‘‘হঠাৎই চোখ যায় ওই বাতিস্তম্ভগুলির দিকে। প্রত্যেকটা থেকে তার বেরিয়ে রয়েছে। কোনও তার অক্ষত নয়। সব ক’টিতেই টেপ লাগানো। যে কোনও সময়ে জলের সংস্পর্শে চলে আসতেই পারে সেগুলি।’’

গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিতে জল জমেছিল স্মার্ট সিটি নিউ টাউনেও। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ফের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ফলে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিছু দিন পর থেকে ওই সব ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের ভিতরের তার থেকে বিদ্যুৎসংযোগ নিয়ে আলোকসজ্জার কাজ শুরু হবে। থাকবে কালীপুজো পর্যন্ত। তার পরে ফের বড়দিনে আলোকসজ্জা হবে।

আবাসিকদের একটি সংগঠন, নিউ টাউন ফোরাম ও নিউজ়ের ভাইস চেয়ারম্যান অঙ্কুর রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ওই অধ্যাপকের তৎপরতায় বিষয়টি নজরে এসেছে। সত্যিই এটা ভাবার বিষয়। আর কোথায় এমন অবস্থা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এনকেডিএ-র সঙ্গে কথা বলব।’’

নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এনকেডিএ) চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, ‘‘ওই দরজাগুলি ভীষণ চুরি হয়ে যায়। আমরা ইলেকট্রিক্যাল বিভাগকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছি প্লাস্টিকের দরজা লাগিয়ে দিতে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

New Town Lamp Post Electrocution
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy