অভিজিৎ ও অংশুমান দাস
বরাহনগরে ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যুর এক দিন পরেই মারা গেলেন বাবাও। শুক্রবার গভীর রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরাহনগরের মান্নাপাড়ায় মামার বাড়ির তিনতলার উপরে চিলেকোঠার ছাদের রেলিংয়ের ফাঁক গলে নীচে পড়ে গিয়েছিল ছ’বছরের অংশুমান দাস। তাকে বাঁচাতে গিয়ে নীচে পড়েন বাবা অভিজিৎ দাসও (৩৩)। দু’জনকেই বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা অংশুমানকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন। মাথা ও কোমরে গুরুতর চোট থাকায় অভিজিৎকে ওই রাতে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়। প্রায় দেড় দিন ভর্তি থাকলেও জ্ঞান ছিল না মুদির দোকানের ব্যবসায়ী অভিজিতের। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর মাথায় রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
এ দিকে, একমাত্র সন্তানের পরে স্বামীকেও হারিয়ে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন অভিজিতের স্ত্রী সুচন্দ্রা। প্রতিবেশীরাও এমন ঘটনায় হতভম্ব। প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবারও বিকেলে ছেলে অংশুমানকে স্কুটিতে চাপিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন অভিজিৎ। তার পরেই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। তারই কিছু ক্ষণ পরে ঘটে দুর্ঘটনাটি। কী ভাবে ওই শিশু রেলিংয়ের ফাঁক গলে পড়ে গেল এবং তাকে বাঁচাতে গিয়ে কী ভাবেই বা অভিজিৎ চিলেকোঠার ছাদ থেকে নীচে পড়লেন তা নিয়ে ধন্দেই রয়ে গেলেন পরিজন ও প্রতিবেশীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy