Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
Death News

ভাইঝির শ্বশুরবাড়ির ‘মারে’ মৃত্যু কাকার

গুরুতর জখম হওয়া আশফাককে প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৩৯
Share: Save:

ভাইঝির শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে মৃত্যু হল কাকার। অভিযোগ এমনটাই। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আশফাক আলম (৪৭)। গত ১২ নভেম্বর তাঁকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। জখম আশফাক ভর্তি ছিলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আড়াই বছর আগে বজবজ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম রসুল রোডের বাসিন্দা মহম্মদ ইসলামের মেয়ে, ২৫ বছরের শাগুফতা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রতিবেশী মহম্মদ জামিলের ছেলে নাবিল জামিলের। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই পারিবারিক অশান্তি শুরু হওয়ায় শাগুফতা মাঝেমধ্যেই তাঁর মা-বাবার বাড়িতে এসে থাকতেন। সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে অশান্তি চরমে উঠেছিল বলে খবর।

শাগুফতার বাবা কর্মসূত্রে কলকাতার বাইরে থাকায় কাকা আশফাক গত ১২ নভেম্বর বিষয়টি মিটমাট করতে গিয়েছিলেন নাবিল জামিলের বাড়িতে। অভিযোগ, সেখানে নাবিলের পরিবারের লোকেরা আশফাককে বেধড়ক মারধর করেন। তাতে গুরুতর জখম হওয়া আশফাককে প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার ভোরে সেখানেই মৃত্যু হয় আশফাকের।

মৃত্যুর খবর পেয়েই শাগুফতার পরিবারের লোকেরা নাবিলের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁদের মারধর শুরু করেন। বজবজ থানার পুলিশ এসে নাবিলের মা, বাবা ও বোনকে গ্রেফতার করেছে। তবে নাবিল-সহ আরও কয়েক জন অভিযুক্ত পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Death News Lynched Beaten to death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy