তিলজলায় শিশু খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা শোনাল আলিপুর আদালত। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
তিলজলায় সাত বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন করে খুন করার ঘটনায় অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতে ওই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তিলজলায় এই ঘটনা ঘটেছিল। শিশুর পরিবার জানিয়েছিল, সকালে সে একতলায় ময়লা ফেলতে নেমেছিল। তার পর থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যায়। ওই বাড়ির অন্য একটি ফ্ল্যাট থেকে পরে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্যাস সিলিন্ডারের পাশে বস্তায় শিশুটির দেহ রাখা ছিল। আলিপুর আদালতে এক বছর ধরে মামলাটি বিচারাধীন ছিল। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। বিচারক তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এই মামলাটিকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ আখ্যা দিয়েছে আদালত।
২০২৩ সালের ২৬ মার্চের ঘটনা। ওই দিন সকালে ময়লা ফেলার জন্য নেমেছিল শিশুটি। তার পরে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। পরে আবাসনে তল্লাশি শুরু হলে তেতলার ফ্ল্যাট থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, ময়লা ফেলে ফ্ল্যাটে ফেরার সময়ে অভিযুক্ত শিশুটির হাত ধরে টেনে নিজের ঘরে নিয়ে যায় এবং যৌন নির্যাতন চালায়। পরে তাকে খুন করা হয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনায় বিরলের মধ্যে বিরলতম। সাত বছরের শিশু, যার খেলা করার বয়স, নিজেকে বাঁচানোর সামর্থ্য তার ছিল না।
সরকারি আইনজীবী মাধবী ঘোষ মাইতি বলেন, ‘‘বড়দের কারও সঙ্গে নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে অনেকে তাঁর পোশাক বা চরিত্রের দিকে আঙুল তোলেন। এটা তো সাত বছরের একটা ফুটফুটে মেয়ে! তার খেলা করার বয়স। তাকে এমন নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। মুখ চেপে ওকে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ধর্ষণ করা হয়। মেয়েটির বাঁচার অদম্য ইচ্ছা ছিল। সে আসামির হাতে কামড়ে দিয়েছিল। পালানোর জন্য ছটফট করেছিল। কিন্তু অত বড় মানুষের সঙ্গে সে পেরে ওঠেনি। তাই এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy