প্রতীকী চিত্র।
বাগুইআটির দেশবন্ধুনগরের বাসিন্দা রাজা দাসের (৩৫) মৃত্যুর ঘটনাটি খুন বলেই প্রাথমিক তদন্তের পরে নিশ্চিত পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের ঘটনা ঘটেছে রাজার বাড়ির কাছেই, অন্য একটি বাড়িতে।
বুধবার সকালে দেশবন্ধুনগরে নিজের বাড়ির কাছেই নর্দমা থেকে উদ্ধার হয় রাজার দেহ। বৃহস্পতিবার স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, মঙ্গলবার রাতভর বাড়ির বাইরে ছিলেন রাজা। তাঁর মোবাইলের অবস্থান ও কল রেকর্ড খতিয়ে দেখার পরে কিছু সূত্র মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। রাজার কয়েক জন পরিচিত লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পুলিশের অনুমান, বাড়ির কাছেই কোনও বাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে রাতে ছিলেন রাজা। কোনও বচসা বা আক্রোশের জেরেই এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। তবে ঘটনার পিছনে আগাম পরিকল্পনা ছিল কি না, তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত নয় পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, খুন করা হয় একটি ঘরের মধ্যে। তার পরে রাজাকে টানতে টানতে ওই নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়। রাজার সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে আরও তিন জন ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। বাকি দু’জনের খোঁজ করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে বিধাননগর পুরসভার কর্মীরা সাফাইয়ের কাজ করতে গিয়ে কাপড়ে মোড়া একটি ব্যাগে রক্তমাখা দু’টি বিছানার চাদর উদ্ধার করেন। যে জায়গাটি পুলিশ খুনের ঘটনাস্থল বলে মনে করছে, তার থেকে কিছুটা দূরেই চাদর দু’টি মিলেছে। পুলিশ জানায়, সেগুলির সঙ্গে রাজার মৃত্যুর যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে। পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে ব্যবসায়িক গোলযোগ এবং এক মহিলার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সব তথ্যই যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy