Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Kalikapur

জমির দেওয়ালে আবর্জনা না ফেলার আবেদন

পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, এটা নতুন ঘটনা নয়। খালি জমি পড়ে থাকলে শহর জুড়ে এ ধরণের প্রবণতা দেখা গিয়েছে।

অনুরোধ বার্তা। নিজস্ব চিত্র

অনুরোধ বার্তা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২০ ০২:৫৯
Share: Save:

বাইপাসের কালিকাপুরে তিন কাঠা জমি ঘিরে রেখেছেন পাঁচিল দিয়ে। বহু বছর আগে ঘেরা সেই জায়গা এখন অলিখিত ভ্যাট হয়ে গিয়েছে। এলাকাবাসীর কাছে বারবার ময়লা না ফেলার অনুরোধেও কাজ হয়নি, জানাচ্ছেন কলকাতা পুরসভার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওই জমির মালিক শেখ সাহানুল হক। তাই নিজের পাঁচিলে বড় হরফে লিখেছেন, আমার বাড়ি। পাশেই দেওয়া তাঁর ফোন নম্বর এবং বাড়ির প্রেমিসেস নম্বর। নীচে লেখা, ‘আপনাদের ভালবাসায় এসেছি। ময়লা ফেলিয়া আমাকে অপমানিত করিবেন না। আমি হাতজোড় করে বলছি।’

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাহানুল বললেন, “স্থানীয় মানুষের কাছে ওখানে জঞ্জাল না ফেলার বিনীত অনুরোধ করেছিলাম। তা সত্ত্বেও প্রতিদিন আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানালে এক বার পরিষ্কার করেও দিয়েছিলেন। তার পরেও ফেলা হচ্ছে।

পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, এটা নতুন ঘটনা নয়। খালি জমি পড়ে থাকলে শহর জুড়ে এ ধরণের প্রবণতা দেখা গিয়েছে। এতে শুধুই যে এলাকায় দূষণ ছড়ায় তা নয়, জায়গাটি মশার বংশবৃদ্ধির উপযুক্ত হয়ে রোগ ছড়াতে পারে। তাই জমির মালিকদের ফাঁকা জমি ফেলে না রাখতে পুর প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয়।

১৯৯২ সালে জমিটি কিনেছিলেন ওই শিক্ষক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দ্রুত অবসর নিতে চলেছি। তার পরেই বাড়ি করব।’’ ইতিমধ্যেই বাড়ি তৈরির জন্য পুরসভার কাছে লিখিত আবেদনও জমা দিয়েছেন তিনি। অন্তত সেই সময়টুকু ওই জায়গায় যাতে কেউ ময়লা না ফেলেন, সে জন্য আবেদন তাঁর।

সাহানুল বলেন, ‘‘শুনেছি ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে নাগরিক সমস্যার সমাধান হয়। এ বার সেখানেই আবর্জনা সাফ করার আবেদন জানাব মেয়রকে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Kalikapur Garbage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE