পার্থ দত্ত
কলকাতা পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তিকে। ধৃতের নাম পার্থ দত্ত। তার বিরুদ্ধে মোট ১১ লক্ষ ৭ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ধৃতকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
জানা গিয়েছে, পার্থর বাড়ি বেহালার রায়বাহাদুর রোডে। বাপন সর্দার নামে এক যুবক সম্প্রতি পর্ণশ্রী থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁকে কলকাতা পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা নিয়েছিল পার্থ। সে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখায় চাকরি করে বলেও দাবি করেছিল। কিন্তু দিনের পর দিন কেটে গেলেও চাকরি পাননি বাপন। তিনি আরও জানিয়েছেন, একাধিক বার তিনি পার্থর সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তার দেখা পাননি। সম্প্রতি বাপন জানতে পারেন, একই কায়দায় আরও কয়েক জনের থেকে টাকা হাতিয়েছে অভিযুক্ত।
কিছু দিন আগে একটি সূত্র মারফত অভিযোগকারীরা জানতে পারেন, পর্ণশ্রীর পাঠকপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছে পার্থ। তাঁরা দল বেঁধে সেখানে হানা দেন। ওই বাড়িতে অভিযুক্তকে বসিয়ে রেখে খবর দেওয়া হয় থানায়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এর পরে পার্থকে ধরে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২১ বছর আগে বিয়ে হয়েছে অভিযুক্তের। ওই দম্পতি নিঃসন্তান। পার্থর মা বয়সজনিত কারণে চলাফেরা করতে পারেন না। অভিযুক্তের স্ত্রী অনামিকা দত্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ের সময়ে পার্থ দাবি করেছিল, সে কলকাতা পুলিশে চাকরি করে। কিন্তু এখন তিনি জানতে পারছেন, সেই দাবি মিথ্যা। কিন্তু ২১ বছরের সংসারিক জীবনেও সন্দেহ হল না? অনামিকার দাবি, ‘‘পার্থ বলত, তার পুলিশের পোশাক লালবাজারেই রাখা থাকে। সেই পোশাক আনতে দেওয়া তো দূর, পরিচয়পত্র পর্যন্ত বাড়িতে আনার নিয়ম নেই। প্রতিদিন সকালে লালবাজারে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যেত পার্থ। বাড়ি ফিরত রাত করে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, নিজের পরিচিতদেরই পার্থ প্রতারিত করত বলে তদন্তে উঠে এসেছে। একটি গাড়িও কিনেছিল সে। তবে কোনও চালক রাখত না। নানা সংস্থা থেকে চালক ভাড়া করত পার্থ। এমনই এক চালকের দাবি, কলকাতা পুলিশে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর থেকেও পার্থ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে। এই ঘটনায় পার্থর সঙ্গে আর কারা জড়িত, দেখছে পুলিশ।
মঙ্গলবার আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, ভুয়ো প্রতিষেধক-কাণ্ড, ভুয়ো সিবিআই, ভুয়ো আইপিএসের পরে কলকাতা পুলিশের কর্মী পরিচয় দিয়েও প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসছে। ধৃতের থেকে পুলিশ স্টিকার লাগানো একটি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনায় আরও কারা জড়িত, তা জানতে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক ধৃতের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy