বাড়ি থেকে উদ্ধার গৌতম চক্রবর্তীর দেহ। নিজস্ব চিত্র।
হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার সত্যেন রায় রোডে ১১ পল্লীতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, লকডাউনে কাজ হারিয়ে অর্থকষ্টে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা। তবে কাজ হারানোর জন্য কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাড়িতে একাই থাকতেন ৪৬ বছরের গৌতম চক্রবর্তী। একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাড়ার বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ভেতর থেকে বন্ধ দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় গৌতমবাবুর দেহ। রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরনে জিনসের প্যান্ট।
প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, গৌতমবাবু অবিবাহিত। বাবা-মা আগেই মারা গিয়েছেন। এক দাদা থাকতেন তাঁর সঙ্গে। তিনিও সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। বাড়িতে একাই থাকতেন গৌতমবাবু। প্রতিবেশীদের দাবি, লকডাউনের সময়ে কাজ হারান তিনি। ফলে অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। স্থানীয় ক্লাবের সহযোগিতায় দিন চলছিল তাঁর। সেখান থেকেই অবসাদ।
আরও পড়ুন: ভারতের ১০০ বনাম চিনের ৩৫০ সেনা! গলওয়ানে সে দিন ৩ ঘণ্টা চলেছিল সংঘর্ষ
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় বাসিন্দারা শনিবার গভীর রাতে গোঙানির আওয়াজ পান গৌতমবাবুর ঘর থেকে। সকালে তাঁরা ডাকাডাকি করেন কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। এর পরই তাঁরা একটি জানলার ফাঁক দিয়ে দেখতে পান মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন গৌতম। তারপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সীমান্তে চিনের উপর নজরদারি বাড়ল, দরকারে বলপ্রয়োগের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হল তিন বাহিনীকে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy