প্রতীকী ছবি।
কিছু ক্ষণ আগেও বন্ধুদের সঙ্গে বসে চা খেয়েছিলেন। তখন বিকেলের জলখাবারও বন্ধুদের সঙ্গে বসেই খান পাভলভ মানসিক হাসপাতালের আবাসিক, বছর চল্লিশের আশা বর্মা। ঘণ্টাখানেক পরে সিঁড়ির কাছে তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন আবাসিকেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানোয় অবস্থায় আশার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। পাঁচতলায় মহিলা ওয়ার্ডের কাছেই একটি সিঁড়ি রয়েছে। সেই সিঁড়ির রেলিং থেকে তাঁর দেহ ঝুলছিল। আলিপুর আদালতের নির্দেশে তাঁকে পাভলভ মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়েছিল যাদবপুর থানা।
ঘটনাটি জানার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দেহ নামিয়ে এনআরএসে পাঠালে চিকিৎসকেরা আশাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্তেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।
পাভলভ সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার বাসিন্দা ওই মহিলার আসল নাম লক্ষ্মী মুর্মু। এক সময়ে পুরুলিয়ার মানসিক হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত দেড় বছর ধরে পাভলভে ছিলেন তিনি। সমাজকর্মী রত্নাবলী রায় বলেন, ‘‘লক্ষ্মী মুর্মু কী ভাবে আশা বর্মা হলেন, তা বুঝতে পারছি না। মনোরোগী বলে কি লক্ষ্মী মুর্মু থেকে আশা বর্মা বানিয়ে দেওয়া যায়?’’
হাসপাতালের সুপার গণেশ প্রসাদ বলেন, ‘‘এ ধরনের রোগীর প্রয়োজনীয় যা চিকিৎসা, তার সবই চলছিল। চিকিৎসায় উনি ভালও ছিলেন। তবে পরিবার বাড়ি না নিয়ে যাওয়ায় ওঁর মধ্যে একটা আক্ষেপ ছিল।’’ স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, কী ভাবে রোগীর মৃত্যু হল তা জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy