মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে ওঁর সার্জারিতে মৃত্যু হয়েছে।’’
হাসপাতালে মৃত মানস সাহার দেহ নিয়ে বিজেপি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় মিছিল করেছিল বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি-কে জবাব দিলেন মমতা।
মানস ওরফে ধূর্জটি ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র শিকার এই অভিযোগেই মমতার বাড়ির কাছে মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান সুকান্ত মজুমদার, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, অর্জুন সিংহের মতো বিজেপি নেতারা। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ধুন্ধুমার যখন চলছে, তখন মমতা একটি কথাও বলেননি। বললেন শুক্রবার। ভবানীপুরের ভোট প্রচারের মঞ্চে নাম না করেই বিজেপি-কে বললেন, ‘‘তুমি আমার বাড়ির সামনে ডেড বডি নিয়ে চলে যাচ্ছ? তোমার বাড়ির সামনে যদি আমি পাঠিয়ে দিই একটা কুকুরের ডেড বডি? ভাল হবে!’’
মানসের মৃত্যু নিয়ে বুধবার থেকেই তর্জন-গর্জন শুরু করেছিল গেরুয়া শিবির। তবে বৃহস্পতিবার রাতে কালীঘাটে মমতার বাড়ির কাছে মানসের দেহ নিয়ে যে ভাবে বিজেপি বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তার পাল্টা তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘মেশিনারি আমার কাছে নেই! এক সেকেন্ড লাগবে। পচা কুকুর তোমার বাড়ির সামনে ফেলে আসব। ১০ দিন খেতে পারবে না গন্ধে।’’
বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, মানসের মৃত্যুতে তাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করবেন। দলের নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত এ-ও বলেন যে, ‘‘এই ঘটনা বাংলার কাছে একটি কালো দিন।’’ তার পরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে মমতার পাড়ায় গিয়ে মানসের মৃত্যুর প্রতিকার চেয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপি। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় তাঁদের। সেই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে ওঁর সার্জারিতে মৃত্যু হয়েছে।’’
একই সঙ্গে মানসের মৃত্যুকে রাজনৈতিক ফয়দা তোলার জন্য যে ভাবে তাঁর দল ব্যবহার করছে, তার সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘‘বদমায়েসি করলে কি না করা যায়। এত পাশবিক এত দানবিক ওরা।’’
পাঁচ মাস আগে বিধানসভা ভোটের সময়ে তৃণমূল কর্মীদের লাঠির আঘাতে মানসের মাথা ফাটে বলে অভিযোগ। তারপর মানস হাসপাতালে থেকেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy